দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধি কামনা
বিমসটেক সম্মেলন সমাপ্ত
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধি কামনা করে শেষ হয়েছে বিমসটেকের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন। অঞ্চলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক ও ৩ টি চুক্তি স্বাক্ষরের পর দুপুরে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোটের প্রধানের দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে সম্মেলন সমাপ্ত হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারের নে পি দওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী ৭ দেশের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। সম্মেলনের প্রথম দিনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন এই জোটের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের স্বাগত জানান।
স্বাগত বক্তব্যের পর শীর্ষ নেতারা ৭টি ক্রিস্টাল বলে স্পর্শ করলে তাতে ভেসে ওঠে ৭ দেশের পতাকা। এ সময় জোটভুক্ত দেশগুলোর পরিচিতি ও জোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
এরপর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় মূল সম্মেলন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সেরিং টোবগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপাকসে, থাইল্যান্ডের বিশেষ দূত ও বিমসটেকের মহাসচিব সিহাসাক ফুয়াংকেটকো এবং মিয়ানমারে এডিবির মিশন প্রধান পুটু কামায়ানা অংশ নেন।
এবারের সম্মেলনে ঢাকায় বিমসটেকের স্থায়ী সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এবং ভারতে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক বিমসটেক সেন্টার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুটি মেমোরিয়াম অব এসোসিয়েশন এবং ভুটানে বিমসটেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন ও বিমসটেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ অবজারভেটরি প্রতিষ্ঠায় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
দুপুরে বিমসটেক সরকার প্রধানরা হাজির হবেন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে। এই সম্মেলনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিবেশী দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো- সমন্বয় ও সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্ব।