বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রচুর সম্ভাবনা : মজীনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বাধাও কম নয়। এ দেশ থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক লোক বিদেশে যাচ্ছেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। তবে দক্ষ শ্রমিক এবং আইনি দুর্বলতার কারণে তা কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে ‘এনআরবি ট্যালেন্ট, রেমিট্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার হয়।
মজীনা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এটি ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সংযুক্ত। এগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে পারলে বাংলাদেশ আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে। দ্য রিপোর্ট।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষ পরিশ্রমী ও সৃজনশীল। এখানে প্রচুর উদ্যোক্তা রয়েছে। এরা আগামীতে অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। এক দশকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
তবে অর্থনীতিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলেও জানান তিনি। চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, বন্দর, সড়ক, রেলওয়ে, বিদ্যুৎ খাতকে আরও সম্প্রসারিত করা। এখানে দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো প্রয়োজন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে যেভাবে সাহায্য করে আসছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ থেকে দিন দিন রফতানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার আরও বাড়াতে হবে।
সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারম্যান এমএস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন, এফবিসিসিআইর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদসহ অনেকে।