‘দুই মাসে ৫৯ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে হত্যা’

জনসমর্থনহীন সরকার মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে মন্তব্য করে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সরকার রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের বুকে গুলি চালাতে বাধ্য করছে। নতুন বছরের প্রথম দুই মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শুধুমাত্র জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৫৯ জন লোককে গুলি করে হত্যা করেছে। বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এসব কথা বলেন।
জামায়াত নেতা বলেন, ২০১৩ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালিয়ে ২০৮ জন মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য এ জঘন্য মানবতাবিরোধী মানুষ হত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন গ্রামের ক্বারী আনোয়ার হোসেনের ছেলে মহিদুল ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত ১৩ জানুয়ারি অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার ৫০ দিন পর আত্মীয়-স্বজনরা বগুড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
জামায়াতের এই সেক্রেটারি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অপহরণ করার পর গুলি করে হত্যা করে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
‘দেশে কোন ক্রস ফায়ার হচ্ছে না। যা হচ্ছে তা বন্দুকযুদ্ধ। নিহত ব্যক্তিরা বন্ধুকযুদ্ধে মারা যাচ্ছে’ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদাসুজ্জামান খানের এমন বক্তব্যে সমালোচনা করে জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমান বলেন, তার এ বক্তব্যের চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর কি হতে পারে? দিনদুপুরে মানুষ হত্যা করে তারা বন্দুকযুদ্ধের বানোয়াট খবর প্রচার করে।
তিনি বলেন, এই সরকারের নিকট মানুষের জানমাল ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। সরকারের গুলিতে নিহতদের পরিবার-পরিজনদের গগণ বিদারী আর্তনাদ ও আহাজারিতে বাতাস ভারী হলেও সরকারের পাষাণ হৃদয় গলছে না।
এসব মানবতা বিরোধী ও নির্মম হত্যাকান্ড অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button