শিগগিরই ডিসিসি নির্বাচন নয় : ভারপ্রাপ্ত সিইসি
সীমানা পুনঃনির্ধারণের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) নির্বাচন শিগগিরই হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক। বুধবার নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেবলমাত্র আদালতের নির্দেশনাই কমিশন মান্য করে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপাতত সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কমিশনের ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে। সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনকে যখন যে দায়িত্ব পালন করতে বলে তখন কমিশন সে দায়িত্ব পালন করে। কমিশন কারও আদেশ-নির্দেশে চলে না। সব নির্বাচনই আইন অনুযায়ী করা হয়।
সরকার হেরে যাওয়ার ভয়ে জাতীয় নির্বাচন দিচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে গেছে। এটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়। এই কথাটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বললে যুক্তিযুক্ত হতো। এছাড়া বিভিন্নস্থানে নির্বাচন কমিশনার কর্মকর্তাদের নির্বাচনি আইনভঙ্গের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সিইসি সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সচেতনভাবে নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করে কি না তার গ্যারান্টি নির্বাচন কমিশন দিতে পারে না। তবে আমার প্রতিষ্ঠানের কেউ অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সহিংসতা বেশি হয়েছে স্বীকার করে মোবারক বলেন, সহিংসতা হয়েছে এটা সত্য। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো যেন এ ধরণের সহিংসতা আর না হয়। নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সে চেষ্টাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ যুক্তরাষ্ট্র গেছেন। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন।
সর্বশেষ ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ডিসিসি নির্বাচন হয়েছিল। এ হিসাবে ডিসিসি প্রায় ১২ বছর ধরে নির্বাচনবিহীন রয়েছে। ওই নির্বাচনের পর প্রথম বৈঠকের তারিখ ধরে ২০০৭ সালের ১৪ মে এ সিটি করপোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। মেয়াদ পার হওয়ার ৭ বছর পার হয়ে গেলেও নির্বাচন হয়নি। এদিকে, ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর ও দেিণ দুই ভাগ করা হয়। একই বছরের ৯ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও আইনি জটিলতায় তা স্থগিত হয়ে যায়। তফসিল অনুযায়ী, দুই সিটি করপোরেশনে ওই বছরের ২৪ মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সে সময় প্রায় দুই ডজন প্রার্থী মেয়র পদে এবং কয়েকশ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। অন্যদিকে, গত বছরের মে মাসে নির্বাচনের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলে নতুন করে তফসিল ঘোষণার উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে দণি সিটি করপোরেশনে একটি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় সীমানা-জটিলতায় নির্বাচন আবারও ঝুলে যায়।