বাহারী সাজে বর্ণিল ‘ওয়ার্ল্ড বুক ডে’
এনাম চৌধুরী: ব্রিটেনের স্কুল গুলোতে ইউনিফর্ম-এর ব্যাপারে এতই কঠোর শৃঙ্খলা যে ড্রেস কোর্ড অমান্য করার নূন্যতম সুযোগ নেই। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা সেই ভোরবেলা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে স্কুলের ক্লাসে যোগ দেয়। কিন্তু ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দিনটি ছিলো শিক্ষার্থীদের কাছে ভিন্ন। আর ভিন্নতা পথচারীদের অনেকটাই চমকে দিয়েছে। প্রতিদিন সকাল বেলা যারা ইউনিফর্ম পরে বাবা-মা’র হাত ধরে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে দেখেছেন, গতকাল দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। কেউ বা স্পাইডার ম্যান, কেউবা ‘ইন্ডিয়ানা জন, কেউবা ‘ম্যাড হাটরা’ চরিত্র সেজে স্কুলের ক্লাসে উপস্থিত হয়েছিলো। ‘ওয়ার্ল্ড বুক’স ডেতে এমনই আনন্দ করতে দেখা গেছে। বইয়ের আনন্দে মাতোয়ারা শিশুরা নিজেদের পছন্দের বইয়ের চরিত্রের সাথে মিল রেখে সেজে ছিলো ভিন্ন ভিন্ন সাজে। বাহারী সাজে সজ্জিত এসব শিশুরা যেন ছিলো নতুনের আনন্দে। প্রতিদিনের স্কুল ড্রেসের বাধ্যবাধকতার বাইরে এক ভিন্ন অনুভূতি নিয়ে সবাই স্কুলে গিয়েছে মায়াবী বর্ণিল সাজে।
পূর্ব লন্ডনের টমার্স বাক্সটন প্রাইমারী স্কুলের হেড টিচার ‘লর্লেন ফ্লাঞ্জাম’ বললেন, শিশুরা সত্যিই খুবই আনন্দ করেছে। তাদের ব্যতিক্রমী পোষাক এবং বাহারী সাজগুলো আমাদেরও আনন্দ দিয়েছে। ম্যাড হাটরা চরিত্রটি আলিস ওয়ান্ডারল্যান্ড ফিল্ম এর একটি চরিত্র। শিশুতোষ গল্পে সেই চরিত্রে যখন ছোট শিক্ষার্থীটি সেঁজে স্কুলে গিয়েছে সেটা দেখে দারুন আপ্লুত তার সহকর্মীরা। ক্লাসের বিরতির ফাঁকে ফাঁকে সবাই আনন্দ করেছে। বাংলার ‘যেমন খুশি-তেমন সাজো’ এমন নানা চরিত্রের সাজে যাদের ছোট্ট ছোট্ট চেহারাগুলোর যেন খুশি মাখা মিলনে হয়েছে মোহিত। টমার্স বাক্সটন প্রাইমারী স্কুলের টিচার এন্ড লিটারিচি লীডার টুইনিটি জন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শুধু আনন্দ উপভোগই করেনি। তারা ‘ওয়ার্ল্ড বুক ডে’ কে স্মরণীয় রাখতে এক পাউন্ড করে চ্যারেটিতে দান করেছে। আর সে টাকাগুলো আফ্রিকার কোন চ্যারেটি সংস্থাকে দান করা হবে। যার মাধ্যমে সেখানকার কোন লাইব্রেরীতে শিশুদের বই কিনতে কাজে লাগবে। টুইনিটি জন জানান, তারা ওয়ার্ল্ড বুক ডে-তে খুব এনজয় করেছেন শিশুদের আনন্দ দেখে।
পূর্ব লন্ডনের আরেকটি স্কুলে ‘মারিয়ন বিচার্ডসন স্কুল ঘরে দেখা মিললো অসংখ্য শিক্ষার্থীর। ইচ্ছেমত সাজতে পেরে এদের অনেকেই তাদের খুশির কথা জানানোর পাশপাশি ফটো তুলতে ক্যামেরার সামনে এসে বিচিত্র ভঙ্গিমায় পোজ দিতে দেখা গেলো।