সিলেটকে আইসিসি’র স্বীকৃতি
মান্না চৌধুরী: সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পালে এখন হাওয়া। কয়েক মাস আগেও যে মাঠকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আর সিলেটের কোটি মানুষ সেই স্টেডিয়াম এখন বাংলাদেশের অষ্টম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু। বৃহস্পতিবার আইসিসি’র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে গেলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। এর আগে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেফ ক্রো’র এই সফরের মাধ্যমে সিলেটবাসীর স্বপ্ন চূড়ান্ত রূপ পেলো। এর আগে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করে যায় আইসিসি’র একাধিক টিম। পরিদর্শনে এসে জেফ ক্রো সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন। মাঠের সবকিছু নিবিড়ভাবে পরিদর্শন শেষে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই স্টেডিয়ামকে দেশের অষ্টম আন্তর্জাতিক ভেন্যুর স্বীকৃতি দিয়ে যান ক্রো। চারদিকে উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলা আর সবুজ চা বাগানে ঘেরা অভূত সুন্দর সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম তার রূপ-গুণে একে একে মুগ্ধ করছে অতিথিদের। সর্বশেষ সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখে মুগ্ধ হলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অতি পরিচিত মুখ জেফ ক্রো। স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, এই মাঠ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর মাঠ। মাঠের চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আমি অভিভূত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু ধরে গত বছরের জুনে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণে হাত দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৮৭ কোটি টাকা। মাত্র সাত মাসের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক ভেন্যু তৈরি অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। দ্রুত কাজ সারার তাগিদ দেয় আইসিসি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু চলে যাবে কলকাতায়-আইসিসি’র এমন একটি হুমকিও ছিল বাংলাদেশের জন্য। এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ছিল আস্থায় অবিচল। আইসিসি’র এমন কঠোরতার মাঝেও বারবার তাদের আশ্বস্ত করে গেছে বিসিবি। আর এ আত্মবিশ্বাসের কল্যাণেই সকলের সহযোগিতায় এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ গ্রিন গ্যালারি। দেশের একমাত্র এই গ্রিন গ্যালারিসহ পুরো স্টেডিয়াম এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আগামী ১৬ই মার্চ বিশ্বকাপ শুরুও পরদিন ১৭ই মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হবে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের।