‘লাইক’ দিতে উৎসাহিত করছেন ক্যামেরন
‘প্লিজ লাইক মি’- যুক্তরাজ্যের সামাজিক সাইটগুলো ভরে ওঠেছে এ ধরণের আবেদনে। যদিও এটি কোনো পণ্যের প্রচার নয়। নয় কোনো উঠতি মডেল বা রুপালি জগতের লাস্যময়ী তারকার আবেদন। এ আবেদন জানাচ্ছেন স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন নিজের ফেইসবুকের জনপ্রিয়তা বাড়াতেই নাকি নতুন এ প্রচার কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি এখন জনে জনে ‘লাইক’ ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন।
তার এ কৌশল কিন্তু দারুন কাজে এসেছে। গত এক মাসে তাঁর পেজের লাইকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। রোববার যুক্তরাজ্যে ডেইলি মেইল পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইক দিতে ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করতে বিজ্ঞাপনের পেছনে হাজার হাজার পাউন্ড অর্থ ব্যয় করছেন টোরি পার্টির প্রধান।
এক মাস আগে ক্যামেরনের ফেসবুক ফ্যান পেজে মাত্র ২০ হাজার লাইক ছিল। আর ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সরকারের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লিব ডেম পার্টির নেতা নিক ক্লেগের ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইক ছিল মাত্র ৮২ হাজার। এক মাসের ব্যবধানে ক্যামেরনের ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইকের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ২৭ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে।
ফ্যান পেজে লাইকের সংখ্যা বাড়াতে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে করা চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজ্ঞাপন বাবদ সাড়ে সাত হাজার পাউন্ড খরচ হতে পারে।
এ ঘটনায় লেবার পার্টির এক এমপি ক্যামেরনের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে ক্যামেরন জনপ্রিয়তা কিনছেন। তাঁর অহঙ্কারের শেষ নেই।’