পাবলিক ইন্টারনেটের স্বল্পতা রয়েছে বাংলাদেশে
মোজাহেদুল ইসলাম: মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এর বাইরেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাইবার ক্যাফে বা এই ধরনের পাবলিক ইন্টারনেটই বড় একটি অংশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মূল ভরসা। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনফরমেশন স্কুলের টেকনোলজি অ্যান্ড সোস্যাল চেঞ্জ গ্রুপের সাম্প্রতিক এক গবেষণাতে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। মোট আটটি দেশে পাঁচ বছর ধরে পরিচালিত হয় এই গবেষণা। এই আটটি দেশ হলো বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, চিলি, ঘানা, লিথুনিয়া, ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল সম্পর্কে প্রধান গবেষক এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনফরমেশন স্কুলের সহকারী অধ্যাপক আরাবা সে জানান, ‘নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এখনও পর্যন্ত বড় একটি অংশের জনগণ কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য পাবলিক প্লেসগুলোকেই বেছে নিয়ে থাকে। সাইবার ক্যাফে, লাইব্রেরি কিংবা টেলিসেন্টারগুলোই তাদের কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রধান মাধ্যম।’ এই গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা যায়, এসব দেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর জন্য পাবলিক ইন্টারনেটই তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের একমাত্র মাধ্যম। পাবলিক অ্যাকসেস না থাকলে এই জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সক্ষম হবে না। আবার ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার ব্যবহারের এই পাবলিক অ্যাকসেস না থাকলে জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশই নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নে সমর্থ হবে না বলে মনে করে। বাংলাদেশে এই জনগোষ্ঠীর জন্য পাবলিক ইন্টারনেটের অ্যাকসেস সময়ের সাথে সাথে কমে যাচ্ছে বলে জানা গেছে এই গবেষণা থেকে। ফলে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্য আয়ের জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই গবেষণায় এ ধরনের পাবলিক ইন্টারনেটের অ্যাকসেস বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারী সহযোগিতাও প্রয়োজন বলে বলা হয়েছে এই গবেষণায়।