বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অবস্থান বদলায়নি ই ইউ
৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিজেদের অবস্থান বদলায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিশেল ট্রিংকুইয়ার। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অঁলিয়স ফ্রঁসেসে আয়োজিত ফ্রাংকোফোনিভুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতদের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মিশরের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইজ্জাত, মরক্কোর ডেপুটি হেড অব মিশন সাইদ কাশমী, কাতারের ডিপ্লমেটিক অ্যাটাচি আব্দুল্লাহ খালিফা আল ফাদালা, সুইজারল্যান্ডের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্যারোলিন ট্রট ওয়েলার ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নুয়েন কয়েন থাক।
সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে ইইউ’র উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ক্যাথরিন অ্যাস্টন নির্বাচনের পরপর যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন ইইউভুক্ত ২৮টি রাষ্ট্র সে অবস্থান থেকে সরে আসেনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে যে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয় তা অনাকাঙ্খিত। এটি এড়িয়ে চলার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া সমস্যা সমাধানে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসারও আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত হিদার ক্রুডেন বলেন, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের কোন বিকল্প নেই।
গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী জোটের অংশ না নেয়া ও অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার ঘটনা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য মানানসই নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি মর্মে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণ ও অনেক রাজনৈতিক দল যে নতুন নির্বাচন দাবি করেছে সেলক্ষ্য কিভাবে অর্জন হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হিদার ক্রুডেন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রধান বিরোধী জোট অংশ নেয়নি। ১৫৩টি আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ জরিপেও দেখা গেছে, ৭৫ ভাগ মানুষ নতুন নির্বাচনের পক্ষে। তাই বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচন প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, আগামী ১৩-২২ মার্চ একযোগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফ্রাংকোফোনি সপ্তাহ ২০১৪।