অর্থমন্ত্রীর চাঁদা তোলার ঘোষণা সংবিধানপরিপন্থী
আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ১০০ কোটি টাকা ‘চাঁদা’ তোলার বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন তাকে সংবিধানপরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকা চাঁদ তোলার যে কথা সম্প্রতি বলেছেন, এটা সংবিধানের ২০-এর ২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হবে এবং কীভাবে তা ব্যয় করা হবে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস কাবে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত ‘দুর্নীতিগ্রস্ত নীতি ও পরিবেশ বিপর্যয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য পাঠ করেন পবার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাসান তারিক চৌধুরী।
তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান মতাসীন দলের লোকেরা বলেছিলেন শিগগির একাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। কিন্তু এখন তারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা নিজেরাই জানেন যে তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেননি। একটি জবাবদিহিমূলক সংসদ এখন নেই। জাতীয় সংসদকে জবাবদিহিমূলক করতে হলে অনতিবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, সাবেক ছাত্রনেতা আসলাম খান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী জানান, আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন সামনে রেখে ১০০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ওই তহবিলের অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ উত্পাদক কোম্পানি, মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি ও বেসরকারি বড় বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে মজা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি মাঝে মাঝেই চাঁদাটাদা তুলি। গতবার এক বৈঠকেই ৬০ কোটি টাকা তুলেছিলাম। এবার মানুষ বেশি, ব্যয়ও বেশি। তাই বিভিন্ন খাতের লোকদের সঙ্গে বৈঠক করলাম।