রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউর নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ভাষা সম্পর্কে ঐকমত্য হয়েছে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ ও তাদের সম্পদ জব্দ করা। ক্রিমিয়ার ব্যাপারে কর্মপদ্ধতি না পাল্টালে এবং ইউক্রেন সঙ্কট নিরসনের প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা না করলে মস্কোর বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেয়া যাবে, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে সাত পৃষ্ঠার এই দলিলে। রয়টার্স।
আগামী সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভায় অনুমোদিত হলে এটি হবে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর রাশিযার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ। আর এতে পাশ্চাত্য ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতির আলামত ফুটে উঠবে। দলিলের প্রথম দফায় বলা হয়, সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজেদের ভূখণ্ডে ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা খর্ব বা হুমকির মুখে ফেলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের প্রবেশ ও যাত্রাবিরতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দ্বিতীয় দফায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে থাকা এসব ব্যক্তির সম্পদ ও তহবিল জব্দ করার কথা বলা হয়।
এ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেস সদস্য রন পল বলেছেন, ইউক্রেন সঙ্কটকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে, তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এক নিবন্ধে এ মন্তব্য করেন রন পল।
তিনি আরো লিখেছেন, অনেকেই ভুলবশত মনে করেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি নির্দোষ পন্থা এবং এর মাধ্যমে অন্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের মর্জি অনুযায়ী চলতে বাধ্য করা যাবে। কিন্তু এ বিষয়ে মার্কিনিদের পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত যে, প্রকৃতপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অকল্পনীয় সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে তাই অর্থ দিয়ে ইউক্রেনকে নিজ পথে আনতে পারবে না কিংবা আরেকটি যুদ্ধ বিশেষ করে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের ধকলও সহ্য করতে পারবে না ওয়াশিংটন। সরকারিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের দেনার পরিমাণ ১৭ ট্রিলিয়ন ডলার এবং এর মধ্যে ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ বাবদ ব্যয় হয়েছে ছয় ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি।