যৌথ মহড়ায় রাশিয়ার জন্য সুস্পষ্ট বার্তা : যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলেছে, কৃষ্ণসাগরে রুমানিয়া ও বুলগেরিয়াকে সাথে নিয়ে শুরু করা যৌথ সামরিক মহড়ায় রাশিয়ার জন্য ‘সুস্পষ্ট বার্তা’ রয়েছে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জে কারনি বলেছেন, ওই দু’টি দেশের প্রতি ওয়াশিংটন যে তার সহযোগিতা শক্তিশালী করেছে এ ঘটনায় সন্দেহাতীতভাবে তা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে রাশিয়া যে আন্তর্জাতিক আইনের পাশাপাশি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রতিবাদ ও ােভ প্রকাশ করাও এ মহড়ার অন্যতম ল্য।
যুক্তরাষ্ট্র, বুলগেরিয়া ও রুমানিয়া মঙ্গলবার থেকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কৃষ্ণসাগরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। মহড়ায় মার্কিন নৌবাহিনীর গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ট্রুক্সটান অংশ নিচ্ছে।
গণ-আন্দোলনে ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ সরকারের পতনের পর রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তীব্র টানাপড়েন চলছে। ইয়ানুকোভিচের পতনের পর ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত ক্রিমিয়া অঞ্চলে সেনা পাঠিয়ে সেটি কার্যত দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট রাশিয়ার সাথে একীভূত হয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ অবস্থায় রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে ক্রিমিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়ার হারানো শক্তিমত্তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টারত রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সে আহ্বান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ কারণে রাশিয়াকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে মার্কিন সরকার।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে পোল্যান্ডে ১২টি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান ও ৩০০ মার্কিন সেনা পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। সেই সাথে লিথুয়ানিয়ার সিয়াউলিয়াই বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে ছয়টি এফ-১৫সি জঙ্গিবিমান ও ৬০ জন মার্কিন সেনা। পোল্যান্ডের সাথে শিগগিরই যৌথ সামরিক মহড়া করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সরকার দাবি করছে, এসব যৌথ সামরিক মহড়ার কর্মসূচি ইউক্রেন সঙ্কটের আগে হাতে নেয়া হয়েছিল। এসব মহড়ায় রাশিয়ার জন্য সুস্পষ্ট বার্তা রয়েছে।