নাশিত জামানের অস্কার পুরস্কার লাভ
আলম শামস: বাংলাদেশের কক্সবাজারের মেয়ে নাশিত জামান অস্কারের বিরল সম্মান অর্জন করেছেন। গত ২ মার্চ এনিমেটেড মুভি ফ্রোজেন টিমের সদস্য হিসেবে তিনি সম্মানিত হয়েছেন। এই প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কোনো মেয়ে এ সম্মান অর্জন করলেন। ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞানমনস্ক নাশিত জামান তার লেখাপড়ার গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিখ্যাত ওয়ার্ল্ড ডিজনি কোম্পানিতে যোগদান করেন এবং থ্রিডি এনিমেশনের প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং তৈরি করে ফেলেন ‘ফ্রোজেন’ নামক থ্রিডি এনিমেটেড মুভি। এই মুভির ডিজিটাল ও লাইটিং এফেক্টের জন্য তাকে এবার পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার অস্কার একাডেমিক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। ফ্রোজেন ছাড়াও তিনি লাইফ অব পাই, দ্য স্মারফস, ট্যাঙ্গেল্ড, জি ফোর্স প্রভৃতি বিখ্যাত এনিমেটেড মুভির ফিল্মোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। একই সঙ্গে তিনি ‘ট্রেসব্যাক স্টুডিও’র লেখক ও ডিরেক্টরও। নাশিত যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের ওপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
আমেরিকা প্রবাসী কক্সবাজারের কৃতী সন্তান হারুনুজ্জামানের বড় মেয়ে এই নাশিত জামান। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম খালেকুজ্জামান ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামানের বড় ভাইয়ের প্রথম সন্তান। সাবেক শ্রমমন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদের প্রথম ছেলে হারুনুজ্জামান ১৯৭৮ সালে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পিএইডি নিয়ে আমেরিকায় গবেষণার পাশাপাশি বসবাস শুরু করেন। নাশিত জন্মগত সূত্রে আমেরিকান হলেও তার পিতৃভূমি কক্সবাজার তথা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করেন। ভবিষ্যতে তিনি তার কর্ম দিয়ে বিশ্বের আরও বড় সম্মান ও স্বীকৃতিলাভে সবার দোয়া কামনা করেছেন।
প্রথম বাংলাদেশী লুলু ফেরদৌস মঙ্গলে
বাংলাদেশী নারী লুলু ফেরদৌস মঙ্গল গ্রহের প্রথম বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে নাসাতে সহযোগী গবেষক হিসেবে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী নারী।
একটি অলাভজনক ডাচ প্রতিষ্ঠান সাত মাস আগে ঘোষণা দেয়, ২০২৫ সালে মঙ্গল গ্রহে স্থায়ীভাবে মানুষের বসবাস শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় মঙ্গলে বসতি গড়তে চান, তাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি আবেদনপত্র আহ্বান করে। এতে দুই লাখের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়ে। তাদের মধ্যে লুলু ফেরদৌসও ছিলেন। লুলু ফেরদৌস সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুরো প্রোগ্রামে মাত্র চার মহাকাশচারীকেই এ সুযোগ দেয়া হবে। তিনি ভাগ্যবান—এ চারজনের একজন হতে যাচ্ছেন।