ব্রিটিশ ইমিগ্র্যান্টদের খরচ ২২ মিলিয়ন পাউন্ড
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ: ১৯৯০ সাল থেকে ব্রিটিশ ইমিগ্র্যাশনের ট্যাক্স-পেয়ারদের উপর বাড়তি খরচ প্রতিদিন ২২ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বর্তমানে ১৪০ বিলিয়নের উপরে বিল বলে নতুন এক স্টাডি রিপোর্টে বলা হয়েছে। ইমিগ্র্যাশন ওয়াচ ডগ আজ এই নয়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যা পূর্বেকার রিপোর্টের চাইতে জনগণের ট্যাক্সের টাকার গচ্ছা দিনকার হিসেবে অনেক বেশী বলে দাবী করা হয়েছে। ২০১১ সালে ব্রিটেনে জন্ম নেয়া ৮ মিলিয়নের মতো বিদেশীদের পেছনে এই খরচ প্রতিদিন ছিলো ৩ হাজার পাউন্ড। গত বছর ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিলো ইমিগ্র্যান্টরা ব্রিটেনের অর্থনীতিতে আশাব্যঞ্জক ভূমিকা রেখে চলেছেন, যা আজকের ইমিগ্র্যাশন ওয়াচ ডগের নয়া রিপোর্টে সেই রিপোর্টের সাথে তুলনামূলক করে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রেসার গ্রুপ গত বছরের ইউসিএল-এর ঐ রিপোর্ট বিবিসির মাধ্যমে “প্রমিন্যান্ট কাভারেজ” দেয়ার জন্যে সমালোচনা করে বলছে ওটা ছিলো “টোটালি রঙ”, যেহেতু নতুন স্টাডিতে ব্যাপক তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। প্রেসারগ্রুপ বলছে, প্রকৃত তথ্য হলো ১৯৯৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইমিগ্র্যান্টদের জন্য ব্রিটিশ জনগণের পকেটের টাকা ১৪০ বিলিয়নের উপরে খরচ হয়েছে, যা প্রতিদিনকার হিসেবে ২২ মিলিয়ন পাউন্ড, যদিও এখনো অজানা তারা কি পরিমাণ ট্যাক্স প্রদান করেছে কিংবা যা পরিশোধ করেছে এই সময়ের মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে একই সময়ের মধ্যে তার বিপরীতে ইমিগ্র্যান্টরা হাউজিং বেনিফিট, কাউন্সিল ট্যাক্স বেনিফিট, চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট, ওয়ার্কিং ট্যাক্স ক্রেডিট, এমপ্লয়ম্যান্ট সাপোর্ট এলাউন্স, ডিসএবিলিটি লিভিং এলাউন্স, চাইল্ড বেনিফিট ইত্যাদি বেনিফিটের মাধ্যমে ট্যাক্স প্রদানের চেয়ে ডাবল ও তিনগুণ হারে বেনিফিট উঠিয়ে নিয়েছে, যা এই আনুপাতিক হিসেবের মধ্যে তুলে আনা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য ব্রিটেনের এই প্রেসারগ্রুপ এক শক্তিশালী লবিষ্ট গ্রুপ, এতে রয়েছেন নানা পেশার দক্ষ প্রফেশনাল ব্যক্তি ও সামাজিক ও মানবাধিকার গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত। এদের মতামতকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়ে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসারগ্রুপের এই মতামত ও ওয়াচ ডগের রিপোর্ট প্রকাশের প্রেক্ষিতে আগামী ২০১৫ সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে কনজারভেটিভ এবং লেবার ইমিগ্র্যাশন পলিসি “টাফ একশন” নিয়ে জনগনের সামনে হাজির হবে, যদিও ইতিমধ্যে যে ম্যানিফেষ্টো প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এব্যাপারে স্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে।ইমিগ্র্যাশন নীতিমালা যে আরো কঠোর হবে, তাতে কোন সন্দেহ নাই। কারণ বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ও ক্রমাগত “কাট-নীতির” মোকাবেলায় ১৪০ বিলিয়নের উপরে ট্যাক্স-পেয়ারদের উপর চাপ- ব্রিটিশ জবগণ ভালোভাবে গ্রহণ করবেনা। তার উপর রয়েছে কট্টর বিএনপি ও ইউকিপ এর মতো পার্টিদের ক্রমাগত ইমিগ্র্যান্টদের উপর কথায় কথায় চড়াও হওয়া। বর্তমান রিপোর্ট তাদের সহ উগ্র পন্থীদের জন্য মোক্ষম অস্র হিসেবে ব্রিটিশ রাজনীতিতে ঝড় তুলবে বলে অনেকেই মনে করছেন। ইতিমধ্যে লিবার্টি গ্রুপও ক্যাম্পেইন এ নামার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।