টি-২০ বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধন
জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। পুরো দেশ এখন ক্রিকেট উত্তেজনা ভোগছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া সাতটার দিকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জমকালো এ আয়োজনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুন্দরভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করে দেশের সুনাম বৃদ্ধির জন্য সকলের সহযোগিতা চাই। বিশ্বকাপ আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ সময় ধন্যবাদও জানান তিনি।
এর আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আবেদন সৃষ্টি করতে রাজধানী ঢাকাসহ ৩টি শহরের মোড়ে মোড়ে আলোকসজ্জা ফুটে ওঠছে রাতের আলো-আঁধারীতে। ফুটওভারসহ নানা স্থান শোভিত হচ্ছে বিশ্বকাপের ব্যানার ফেস্টুন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো ঢেলে সাজানো হয়েছে। রাজপথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকছে ক্রিকেটারদের ছবিও। নানা শহরেই বসছে জায়েন্ট স্ক্রিন। তাকে ঘিরে জেগে ওঠবেন ভক্তরা। দেশের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপ; তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালিদের উৎসাহ স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশিই। ফলে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আদলে মেগা কনসার্টক বিশ্বকাপে এনে দিয়ে বাড়তি প্রণোদনা।
আয়োজক হিসেবে আতিথিয়েতার অচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ করার অভিপ্রায়েই কোটি কোটি টাকায় সাজানো হয়েছে এই আয়োজন। দেশ-বিদেশি সেরা শিল্পীদের সুর-মূর্ছনায় সুরভিত হয়ে উঠবে গ্যালারি; সীমাহীন স্বপ্ন সেই পরিধিই অতিক্রম করবে। মেগা ইভেন্টের নির্ভার আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার এমন উপলক্ষ হেলায় কেউ হারাতে চাচ্ছেন না। প্রত্যাশায় ফানুসে চড়ে চড়া দামেও টিকিট কেনার ট্রেনে চড়ে বসেছেন উন্মাদপ্রায় ভক্তরা। যেখানে শখের তোলা আশি টাকায় তাদের আপত্তি নেই। উৎসবপাগল বাঙালি মুখিয়ে দেশের স্পর্ধিত সেই আয়োজন দেখতে।
২০১১ সালে বিশ্বকাপের উদ্বোধন সফলভাবে আয়োজন করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। সেই সুখস্মৃতিকে পুঁজি করেই এমন আয়োজন। যেখানে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, ক্রীড়াসচিব নূর সোহাম্মদ। থাকছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সহ আরো অনেকেই। সঙ্গে গ্যালারিতে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক।