কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী
এবার কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী শুভ রায়। কয়েক বছরের মধ্যেই তার আবিষ্কৃত এই কিডনি মানবদেহে ব্যবহার করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সহযোগী অধ্যাপক শুভ রায় গত ১০ বছর আগে তার সহকর্মীদের নিয়ে কৃত্রিম কিডনি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন।
বহু গবেষণার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ঘোষণা দেন, তারা কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে তা অন্য প্রাণীর দেহে প্রতিস্থাপন করে সফল হয়েছেন।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরো ব্যাপকভাবে বিভিন্ন প্রাণীদেহে পরীক্ষার পর মানবদেহে এই কৃত্রিম কিডনি ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তিনি। আর এই কৃত্রিম কিডনি আসল কিডনির মতোই কাজ করবে শুভ রায়ের ধারণা।
জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় দুটি কারণ ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন। রোগটি দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান। আর এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা হল ডায়ালিসিস। ব্যয়বহুল এ ডায়ালিসিস আসল কিডনির ক্ষেত্রে কাজ করে মাত্র ১৩ শতাংশ।
জটিল কিডনি রোগের আদর্শ চিকিৎসা হলো কিডনি প্রতিস্থাপন। কিন্তু সহজলভ্য না হওয়ায় খুব কমসংখ্যক রোগীই এ সুযোগ পান। আবার কিডনি প্রতিস্থাপনে দাতার রোগ গ্রহীতার শরীরে চলে আসার ও সম্ভবনা থাকে।
কিন্তু কৃত্রিম কিডনির ক্ষেত্রে এসব আশঙ্কা নেই। এই কিডনির একটি অংশ (সেকশন) রক্ত থেকে বর্জ্য পরিশোধন করে, আর অন্য অংশ (কম্পার্টমেন্ট) অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই কিডনি কয়েক দশক টেকসই হবে।
সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে এই কৃত্রিম কিডনি। অর্থনৈতিক দিক নিশ্চিত হলে তিন-চার বছরের মধ্যেই এই কিডনি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যেতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।