প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১১১৯ জন
শনিবার তৃতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
কারচুপি, ভোট ডাকাতি, সন্ত্রাসের আশঙ্কা মধ্যে শনিবার চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪১টি জেলার ৮১টি উপজেলায় বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এই দফায় নির্বাচনে ১ হাজার ১১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪১৯জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪২৩জন এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৭ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এই ৮১টি উপজেলায় মোট ভোটার ১ কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ১৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ জন ও মহিলা ভোটার ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ১৮১ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৫৬টি, ভোটক ৩৮ হাজার ১৮৯টি।
এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ৫ হাজার ৪৫৬ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৩৮ হাজার ১৮৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৭৬ হাজার ৩৭৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহষ্পতিবার রাতেই শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রচারণা। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে শনিবার সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা টহল শুরু করেছে।
৮১টি উপজেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনী। নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে মোট ৫ দিন তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি উপজেলায় এক প্লাটুন করে সেনাবাহিনীর সদস্য টহল দিচ্ছে। বড় উপজেলায় এ সংখ্যা বেশি হতে পারে। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি গাড়ি টহলে রয়েছে। সঙ্গে সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন। এ ছাড়া মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্তসংখ্যক র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে।
এর বাইরে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (নারী-৪, পুরুষ-৬ জন), আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ, পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধুমাত্র পুলিশের ক্ষেত্রে দুজন হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৩২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।