যুক্তরাজ্যের একটি স্কুলে স্কার্ট নিষিদ্ধ
দিন দিন স্কার্টের ঝুল ছোট হয়ে আসায় মেয়েদের যেন স্বভাবসুলভ মেয়ে মনে হয় না। একটু দৃষ্টিকটু লাগে। এমন দাবি তুলে যুক্তরাজ্যের ওরস্টারশায়ার কাউন্টির রেডিচ শহরে ওয়াকউড চার্চ অব ইংল্যান্ড মিডল স্কুলে নয় থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়েশিশুদের জন্য স্কার্ট পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাদের ট্রাউজার পরার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৪ সাল থেকে স্কার্টের ওপর ব্লাউজের মতো পোশাক পরাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার বরাত দিয়ে খবরে জানানো হয়, ছেলেমেয়েদের স্কুলপোশাক একই রকম রাখতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডেভিড ডাবটফায়ার বলেন, ‘ছোট স্কার্ট পরার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন ছিল। বড় বড় অনেক ছাত্রী খুব ছোট স্কার্ট পরে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে তারা যখন ক্লাসে বসে, তখন তা দেখতে খুব দৃষ্টিকটু লাগে।আমরা যদি তাদের স্কার্টের ঝুল বাড়ানোর কথা বলতাম, তাহলে তারা হয়তো করত। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যেত। আমরা স্কুলের নির্ধারিত পোশাক সহজ করতে চাই।’
ডেভিড আরও বলেন, ‘ছাত্রীরা গ্রীষ্মে হয়তো নিজেদের পছন্দমতো পোশাক পরতে পারবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
দি অফিস ফর স্ট্যানার্ডস ইন এডুকেশনের পর্যালোচনায় সম্প্রতি ওয়াকউড স্কুলের মান ‘সন্তোষজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই স্কুলে ৭২৩ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে।
কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তকে অভিভাবকেরা ‘খেপাটে’ বলে মনে করেছেন। তাঁরা মনে করেন, এ সিদ্ধান্ত শিশুদের বিভ্রান্ত করবে।
২০ জন অভিভাবক এরই মধ্যে এর বিরোধিতা করে অভিযোগ দাখিল করেছেন। একজন অভিভাবক বলেন, ‘তারা নারী নয়, তারা শিশু। আর স্কার্ট পরা বন্ধ করা মানে তাদের বিভ্রান্ত করে দেওয়া।’