আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা
পশ্চিমা বিশ্বে হাজার হাজার সিরীয় প্রবাসীদের বিক্ষোভ
সিরিয়ার জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতে হাজার হাজার মানুষ শনিবার বিভিন্ন পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন নগরীতে সভা-সমাবেশ করেছে। সিরিয়া যুদ্ধ এখন চতুর্থ বছরে পা দিয়েছে। এ যুদ্ধে কমপে এক লাখ ৪৬ হাজার মানুষ নিহত এবং অসংখ্য লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে প্রায় এক হাজার লোক সিরীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা যুদ্ধ রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা করে। বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন ব্যানারও ছিল। ব্যানারে লেখা ছিল : ‘বিষাক্ত গ্যাস, ক্ষুধা ও ঠাণ্ডায় মানুষ মারা যাচ্ছে আর আপনারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন’, ‘আপনাদের নীরবতা আমাদের হত্যা করছে’, ‘বিজয় না আসা পর্যন্ত বিপ্লব চলবেই’, ‘সিরিয়াবাসী বাঁচতে চায়’।
ইতালির রাজধানী রোমের সিটি সেন্টারে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। তাদের বেশির ভাগই ছিল সিরিয়ার নাগরিক। প্যারিস ও মাদ্রিদেও কয়েক শ’ লোক অনুরূপ বিােভ করেছে। প্যারিসে আইফেল টাওয়ারে সিরীয়বাসীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি আলোকলিপি সংবলিত বার্তা টানানো হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ফরাসি শাখার প্রধান জেনেভাইভে গ্যারিগোস বলেন, ‘সিরিয়ায় দমনপীড়ন ও সঙ্ঘাত শুরুর তিন বছর পর আমরা সেখানকার জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতে এখানে এসেছি।’ ওয়াশিংটনেও প্রায় এক হাজার মানুষ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদবিরোধী বিােভ করেছে। তারা ‘বিপ্লবের পক্ষে ও বাশারবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হয়ে সিরিয়াযুদ্ধে শহীদ অনেক ব্যক্তির নাম পাঠ করে।
এ দিকে সিরিয়ার সরকারিবাহিনী রোববার লেবানন সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কালামুন অঞ্চলে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি ইয়াবরুদের নিয়ন্ত্রণ দখল করার দাবি করেছে।
বিরোধী দলীয় সূত্র জানায়, সরকারিবাহিনী ইয়াবরুদ শহরটি দখল করার আগের রাতে বেসামরিক লোক ও বিদ্রোহীরা পার্শ্ববর্তী দেশ লেবাননে পালিয়ে যায়। লেবাননের শিয়া চরমপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রশিতি যোদ্ধারা ইয়াবরুদ দখলে সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করেছে বলে জানা গেছে।
অপর এক খবরে বলা হয়, লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় শহর ত্রিপোলিতে সহিংসতায় তিন দিনে ১১ জন নিহত হয়েছে। সিরিয়ার বাশার সরকারের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।