তাবলিগ জামায়াতের আমির মাওলানা জোবায়েরুল হাসানের ইন্তেকাল
বিশ্ব তাবলিগ জামায়াতের আমির হযরত মাওলানা জোবায়েরুল হাসান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লির ড. রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার মৃতুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, মাওলানা জোবায়েরুল হাসানের মৃত্যুতে তাবলিগ জামায়াত হারিয়েছে তাদের একজন সুযোগ্য আমিরকে। মুসলিম উম্মাহ হারিয়েছে একজন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদকে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্য এবং দেশ-বিদেশে তাবলিগ জামায়াতের শোকাহত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে শোকবাণীতে ১৯ দলীয় জোট নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা জুবায়েরুল হাসান (র.) ইসলামী জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হওয়ার যে বাণী তিনি প্রচার করেছেন- তা মুসলিম উম্মাহর মধ্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একজন প্রসিদ্ধ ও খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে তিনি দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষকে ইসলামী চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে মহান আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের পথ দেখিয়েছেন। তার পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া ইহকাল ও পরকালের সঠিক দিক নির্দেশনা পেতে বঞ্চিত হলো উপমহাদেশের মুসলমানেরা। তিনি তার স্বভাবসূলভ অনন্য শৈলীতে যেভাবে কোরান-হাদিসের তাফসির করেছেন তা ছিল মুসলমানদের নিকট এক অসাধারণ প্রাপ্তি।
বেগম জিয়া বলেন, নম্রতা, বিনয়, সৌজন্য, শান্ত ও সহিঞ্চুতা ছিল তার স্বভাবজাত। ইসলামী দার্শনিক হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তিনি ছিলেন এমন একজন ইসলাম বিশারদ, যার আবেগময়ী মোনাজাত ও ইসলামী বক্তব্য শুনে মোহাবিষ্ট থাকতো লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
বেগম জিয়া বলেন, মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়েরুল হাসান (র.) এর মৃত্যুতে উপমহাদেশসহ বিশ্ববাসী একজন নিবেদিতপ্রাণ আল্লাহ ভক্তকে হারালো, এ শূন্যস্থান সহজে পূরণ হবার নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়েরুল হাসান (র.)-এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। বেগম জিয়া মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুনগ্রাহী, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান।