ব্রিটেনের হোটেল ব্যবসায় কিচেন সামগ্রী আসছে সিলেট থেকে
ইকবাল মাহমুদ: ব্রিটিশ ক্যাটারিং ইন্ডাস্ট্রির সিংহভাগ কিচেন সামগ্রী এবার রপ্তানী হচ্ছে সিলেট থেকে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ও হালকা প্রকৌশল ব্যবহার করে কিচেন সামগ্রী প্রস্তুত করে তা সরবরাহ করা হচ্ছে বিলেতের বাজারে। সিলেটের খাদিমনগর বিসিক শিল্প এলাকায় স্থাপিত ‘সিলেট ওয়েল্ডিং-ব্রিটিশ গ্যাস কুকার কোম্পানী’ এককভাবে এ রপ্তানী বানিজ্য পরিচালনা করছে। শুক্রবার দুপুরে কোম্পানীটি তার ৩২তম শিপম্যান্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
খাদিমনগর বিসিক শিল্প এলাকায় এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিলেতের ক্যাটারিং হসপিটালিটি শিল্প বাংলাদেশী অভিবাসীরা সাফল্যের সাথে নিয়ন্ত্রণ করছেন। কিন্তু ক্যাটারিং শিল্পের অবকাঠামো নির্মানে এতদিন ব্রিটিশদের উপর নির্ভরশীল ছিলেন বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা। আর এতে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হত উদ্যোক্তাদের। সেই নির্ভরশীলতা এখন প্রায় শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে। এখন বাংলাদেশে অপেক্ষাকৃত স্বল্প ব্যায়ে কিচেন সামগ্রী তৈরী করে তা বিলেতের ক্যাটারিং শিল্পের জন্য রপ্তানী করা হচ্ছে।
শিপম্যান্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ‘সিলেট ওয়েল্ডিং-ব্রিটিশ গ্যাস কুকার কোম্পানী’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কয়সর আহমদ সিআইপি।
তিনি জানান, ২০০৬ সাল থেকে তাঁর কোম্পানী বিলেতে কিচেন সামগ্রী রপ্তানী শুরু করে। বর্তমানে ১২ বার্ণার কুকার, ৯ বার্ণার কুকার, ৮ বার্ণার কুকার, ৬ বার্ণার কুকার, তান্দুর ওভেন ও বারবিকিউসহ অন্যান্য কিচেন সামগ্রী তৈরী করে তা সাফল্যের সাথে রপ্তানী করছে কোম্পানীটি। ৩২তম শিপম্যান্ট এর মাধ্যমে ৪০ ফিট হাইকিউব কনটেইনার ভর্তি কিচেন সামগ্রী প্রেরণ করা হয় বিলেতের উদ্যেশ্যে। বাংলাদেশের শতভাগ রপ্তানীমুখী এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে ‘ব্রিটিশ স্ট্যান্ডারড ইন্সটিটিউট’ (বিএসআই) সনদ লাভ করেছে বলেও জানান কয়ছর আহমদ। প্রবাসী এ উদ্যোক্তা বলেন, সিলেটের যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের মধ্যে ব্যবসা-বানিজ্যে বিনিয়োগের চেয়ে দামী দামী অট্টালিকা নির্মানের একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে প্রবাসীদের নতুন নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্ঠিতে মনোযোগ দেয়ার আহবান জানান তিনি।