বাদশাহ আব্দুল্লাহ প্রকল্প থেকে ৪ কোটি ৮০ লাখ ক্যান জমজমের পানি
বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ জমজম পানি প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৮০ লাখ ক্যান জমজম পানি উৎপাদন করেছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ পানি উৎপাদন করা হচ্ছে। পানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এবং এর তদারকির দায়িত্বে ছিল ন্যাশনাল ওয়াটার কোম্পানী। জমজমের পানি উৎপাদন ও বিতরণ করার ক্ষেত্রে এটা হচ্ছে সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্প। দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ আবদুল্লাহ নিজে এ প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহ করেছেন। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৭০ কোটি সৌদি রিয়াল। তার নির্দেশেই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বাদশাহ আবদুল্লাহ জমজম কূপ থেকে পানি সংগ্রহে বিশ্বের সর্বশেষ টেকনিক ও পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইস্পাতের পাম্প ও পাইপের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করা হয়। বিশুদ্ধতা ও স্বাদ ঠিক রেখে পানি ফিল্টারিং ও বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জমজমের পানি সংগ্রহ করে বিতরণ করা হয়। প্রকল্পের ৪টি উৎপাদন
লাইন রয়েছে। এর সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে দৈনিক ২ লাখ ক্যান। এ প্রকল্পে একটি কেন্দ্রীয় ভান্ডার রয়েছে যেখানে ১৫ লাখ ক্যান পর্যন্ত পানি মওজুদ রাখা যায়। আরেকটি অতিরিক্ত ভান্ডার নির্মাণ করা হচ্ছে যেখানে ২ লাখ ক্যান পানি মওজুদ রাখা যাবে। জমজমের পানি সহজে বহন করার জন্য ১০ লিটারের ক্যান ব্যবহৃত হচ্ছে। পর্যটক এবং হজ্বের সময় হাজীদের বর্ধিত চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে ১৬টি স্থানে জমজমের পানি হাতে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৪২টি স্থানে পানি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিতরণ করা হয়ে থাকে। এ প্রকল্পের আওতায় দুই পবিত্র মসজিদে জমজমের পানি সরবরাহ করা হয়। গত বছরের রমযানে পবিত্র কাবাঘরে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ২শ’ ৫৮ ঘনমিটার পানি সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে মসজিদে নববীতে সরবরাহ করা হয় ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭শ’ ৯৯ ঘনমিটার পানি। এদিকে জমজমের পানির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।