রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় পুলিশ
অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের এমপি গোলাম মাওলা রনির করা মামলা থেকে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক সালমান এফ রহমান ও দুই সাংবাদিককে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
একইসঙ্গে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও আবেদন করা হয়েছে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আবু জাফর রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ আনিসুর রহমান জানান, মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহামুদ আদনান গতকাল মঙ্গলবার ‘দেখলাম’ বলে ওই আবেদনে সই করেছেন। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন রেখেছেন হাকিম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান এফ রহমান, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সংবাদকর্মী ইমতিয়াজ মোমিন ও ক্যামেরা পার্সন মহসীন মুকুলকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও আবেদন করা হয়েছে।
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ওই দুই সংবাদকর্মী অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের জন্য গত ২০ জুলাই পল্টনে রনির কার্যালয়ে গিয়ে মারধরের শিকার হন। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সংসদ সদস্য রনি নিজেই প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর চড়াও হয়ে লাথি মারছেন।
ঘটনার পর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ রনিকে আসামী করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করে। ওই দুই সংবাদিকসহ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানকে আসামী করে রনিও পাল্টা মামলা করেন। রনি ২১ জুলাই বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেও টেলিফোনে হুমকির অভিযোগে ইনডিপেন্ডেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি জিডি করার পর গত ২৪ জুলাই জামিন বাতিল করে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত। এর দুই ঘণ্টার মাথায় গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে রনি বলেন, “ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণে বোঝা যায়, আমি মূলত পরিস্থিতির শিকার। এই ঘটনায় সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে অসংযত আচরণের দায় পুরোপুরি আমার।” মহানগর দায়রা জজ আদালতে আগামী ১৩ আগস্ট রনির জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।