আনন্দ-উল্লাস করছে ক্রিমিয়ার জনগণ
রাশিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়ার পর ব্যাপক আনন্দ-উল্লাস করছে ক্রিমিয়ার জনগণ। ক্রিমিয়ার রাজধানী সিম্ফারোপোলে উল্লাসের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। সেখানে শনিবার সকালেও ছিল উৎসবের আমেজ। উৎসবের রেশ এখনও কাটেনি।
শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করে ডিক্রি জারি করার পর থেকেই উল্লাস শুরু হয়। এরপর রাতজুড়ে চলে নাচ-গান ও আতশবাজি। ক্রিমিয়ার প্রধানমন্ত্রী সের্গেই আকসিওনভ রাজধানীতে সমবেত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেছেন, “আমি নিশ্চিত যে আমরা সবাই নয়া ক্রিমিয়ায় একসঙ্গে সুখ ও স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করব। যেমনিভাবে আমাদের বাবা-দাদারা চেয়েছিলেন।” একই ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতেও। সেখানেও চলেছে গান ও আতশবাজি।
গতকাল রুশ ফেডারেশনের সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত আইনে সই ও ডিক্রি জারি করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই আইনে সইয়ের মধ্যদিয়েই ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলটি আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়।
এর আগে গতকালই রুশ সংসদের উচ্চকক্ষে সর্বসম্মতভাবে ক্রিমিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত একীভূতকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং সংবিধান সংস্কারের বিলটি অনুমোদন লাভ করে। গত রোববার ক্রিমিয়ায় অনুষ্ঠিত গণভোটে ৯৭ শতাংশ ভোটার রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে বলে ক্রিমিয়ার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। ওই গণভোটের পরই রাশিয়ায় ক্রিমিয়ার অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে চুক্তি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ক্রিমিয়ার নেতারা।