লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন
৪ লাখ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত
আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় সংগীত কোরাসে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড গড়তে প্রায় চার লাখ মানুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ সদস্য, সাধারণ জনগণ, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী, পোশাক শ্রমিক, আর্মড পুলিশের ফোর্স, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে নতুন রেকর্ড গড়তে অংশগ্রহণ করবে।
গতবছর ভারতে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।
কন্ট্রোলার ব্রিগেডিয়ার মার্শাল জেনারেল শরাফত হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ইতিহাসে অংশ নিতে যে কেউ আসতে পারে। সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে ১৩ বছরের কম বয়সী কাউকে এ আয়োজনে না আনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রায় ৪ লাখ মানুষ এই গ্রাউন্ডে সমবেত হবে এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৫ হাজার যানবাহন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’ ইতিহাস তৈরির অনুষ্ঠান সফল করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় ৪৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এক সঙ্গে ৩ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তৃতা করেন, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমল কবির, মনির আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান ও কমান্ডার নিজামুল হক।
আয়োজকরা বলেন, ২৬ মার্চ সকাল ১১টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে তিন লাখ মানুষের জাতীয় সংগীত গাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যদিকে উল্লেখিত স্থানের বাইরে আরো তিন লাখ মানুষের কোরাস গাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
তারা বলেন, এদিন তিন লাখ মানুষের প্রবেশের জন্য সকাল ৬টা থেকে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের ১৫টি ফটক সবসময়ের জন্য খোলা থাকবে। সকাল ১১টায় একই সাথে আরো তিনটি স্থানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে।
সকাল পৌনে নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করবে।
এই মেগা ইভেন্ট আগামীকালের মধ্যে শত ভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে বলে আয়োজকরা জানান। ২৪ মার্চ মূল আয়োজনের দু’দিন আগে কোরাস গাওয়ার রিহার্সেলের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর্মড ফোর্স ডিভিশন এ আয়োজনে ব্যক্তিগত অথবা দলগত কোনো ব্যানার বা ফেস্টুন ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন আয়োজকরা।