মাওলানা সাঈদীর আপিল শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। গতকাল প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন।
গতকাল আপিল শুনানির জন্য এ মামলাটি আপিল বিভাগের কার্য তালিকার এক নাম্বারে ছিল। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মাওলানা সাঈদীর মামলাটি শুনানি করতে আপত্তি জানান। পরে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
প্রধান বিচারপতি ছাড়া বাকি চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে গত সোমবার জামায়াতের আরেক নেতা কামারুজ্জামানের মামলার আসামিপক্ষের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।
একই আদালত গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয় চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন প্রথম ট্রাইব্যুনাল।
রায় ঘোষণার ২৯ দিনের মাথায় গত ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আপিল করে। সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে তাকে খালাসের আরজি জানিয়ে আপিল করেন সাঈদী। অন্যদিকে ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও দণ্ড ঘোষণা না হওয়ায় সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। দুটি আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। আপিল করার চার মাস পর মামলাটি কার্য তালিকায় আসলো।
সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসা বালিকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি, ধর্মান্তর করার একটি এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনের তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় অন্য অভিযোগগুলোতে আলাদা করে কোনো দণ্ড দেয়া হয়নি।
এদিকে জামায়াতের আরেক নেতা আবদুল কাদের মোল্লার আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে আপিল বিভাগ। যে কোনো দিন মামলাটির রায় হতে পারে।