সেলিম আউয়ালের ‘শেকড় সন্ধানী সৈয়দ মোস্তফা কামাল’ গ্রন্থের প্রকাশনা
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, শেকড় সন্ধানী গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল আমাদের অগ্রজ গুণীজন। তিনি শুধু সিলেট অঞ্চল নয়, দেশের সাহিত্যাঙ্গনে উজ্জ্বলতর নক্ষত্র ছিলেন। তাঁর কর্মময় জীবন ও মুল্যায়ন নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরলে কেবল সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে না, যিনি লিখবেন তিনিও সমৃদ্ধ হবেন।
শনিবার বিশিষ্ট গল্পকার ও সাংবাদিক সেলিম আউয়ালের ৪র্থ গ্রন্থ ‘শেকড় সন্ধানী ধ্যানী গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সপ্তম বই মেলার মঞ্চে গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক বলেন, সিলেট বান্ধব গবেষক ছিলেন সৈয়দ মোস্তফা কামাল। সাহিত্যের সকল শাখায় তার সরব বিচরণ ছিল। সেই মানুষটিকে নিয়ে গল্পকার সাংবাদিক সেলিম আউয়াল যে গ্রন্থ রচনা করেছেন, তিনি গুনিজনের প্রতি শ্রদ্ধার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই গ্রন্থ শুধু নিজের লেখালেখিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে না, অগ্রজদের মুল্যায়নে নবীণদের উৎসাহ যোগাবে।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক সিলেটের ডাক এর নির্বাহী সম্পাদক গবেষক আবদুল হামিদ মানিক। আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ও মাসিক ভিলেজ ডাইজেস্ট এর সম্পাদক বিশিষ্ট কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী, স্কলার্স হোম এর প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের সিদ্দিকী (অব:), মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লেঃ কর্ণেল এম আতাউর রহমান পীর, বিশিষ্ট কবি অধ্যক্ষ কালাম আজাদ, দৈনিক সিলেটের ডাক এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও মুসলিম সাহিত্য সংসদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দেওয়ান তৌফিক মজিদ লায়েক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ও জাস্ট নিউজ এর সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আজিজুল মালিক চৌধুরী, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, মাসিক বিশ্ব বাংলা সম্পাদক কবি মুহিত চৌধুরী, সিলেটের সাবেক ড্রাগ সুপার ডাঃ এম এ জলিল চৌধুরী, সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গৌছ আহমদ চৌধুরী, মাসিক বিশ্ববাংলা সম্পাদক জাহেদুর রহমান চৌধুরী, ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হোসনে আরা কলি এবং লেখক অনূভুতি ব্যক্ত করেন গল্পকার সাংবাদিক সেলিম আউয়াল।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক এডভোকেট কবি আব্দুল মুকিত অপি। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন অধ্যক্ষ কবি বাছিত ইবনে হাবিব। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আব্দুল আজিজ জাফরান।
অনুষ্ঠানে কবি কালাম আজাদ বলেন, গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তাকে নিয়ে কাজ করার অনেক বিষয় রয়েছে। গল্পকার সেলিম আউয়াল মুল্যায়ণধর্মী গ্রন্থ রচনা করে মোস্তফা কামালের জীবন ও কর্ম গবেষণার শুভ সূচনা হয়েছে। আশা করি গুনী এ লেখককে নিয়ে গবেষণায় আরো অনেকেই এগিয়ে আসবেন।
কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী বলেন, গল্পকার সেলিম আউয়ালের ‘শেকড় সন্ধানী ধ্যানী গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল’ গ্রন্থটি অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। এ গ্রন্থটি মোস্তফা কামালকে নিয়ে রচিত প্রথম গ্রন্থ হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে।
সাংবাদিক মুশফিকুল মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামালের মত ব্যক্তিকে আজ খুব বেশি প্রয়োজন। একই সাথে তাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। কারণ মোস্তফা কামাল শুধু সাহিত্যে নয়, রাজনীতিতেও তাকে অনুসরন অনিবার্য।
গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেন, সৈয়দ মোস্তফা কামাল যেমন সাহসী ও আপোসহীন ছিলেন,তেমনি তার ছিলো ফুলের মতো কোমল মন। খুব সহজে তিনি সবাইকে কাছে টেনে নিতে পারতেন।
সভাপতির বক্তব্যে গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, অতীতে যারা সাহিত্য-গবেষণা নিয়ে কাজ করে গেছেন তাদের কাছে আমরা ঋণী। সেলিম আউয়ালের ‘শেকড় সন্ধানী ধ্যানী গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল’ গ্রন্থটি সেই ঋণ শোধের প্রয়াস মাত্র। তিনি বলেন, এই গ্রন্থটি যেমন সফলতা পাবে, তেমনি সেলিম আউয়ালের সাহিত্যের সকল শাখায় বিচরণের যাত্রাও সুগম হচ্ছে।