১ হাজার ২শ মুরসি সমর্থকের বিচার শুরু
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ১ হাজার ২শ জনেরও বেশি সমর্থকের বিচার শুরু করেছে মিসর। দেশটির বিচার বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের জুলাইয়ে মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্র্যাকডাউনের পর থেকে সংগঠনটির আটক সদস্যদের বিরুদ্ধে এটাই বিচারের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ।
কায়রোর দক্ষিণাঞ্চল মিনিয়াতে গত শনিবার এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মিনিয়ার ৬টি ভিন্ন আদালতে মাত্র ৬ দিনে এ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
মামলার আসামিদের মধ্যে বর্তমানে নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক নেতা মোহাম্মদ বাদিইও রয়েছেন। তবে আসামিদের অনেকেই বিচারের সময় অনুপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের আগস্টে দক্ষিণ মিসরের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এবং সরকারি সম্পত্তিতে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত আগস্টে কায়রোতে মুরসি সমর্থকদের দুটি বিক্ষোভ ক্যাম্প উৎখাতের পরই এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগনামায় উল্লেখ করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসি নিজেও বর্তমানে ৪টি মামলায় বিচারের সম্মুখীন রয়েছেন।
এদিকে, মুরসি সমর্থকরা মুরসিকে প্রেসিডেন্ট পদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মুসলিম ব্রাদারহুডের অপর ২৬ সদস্যকে সুয়েজখালে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যে এক সন্ত্রাসী সেল গঠনের দায়ে মত্যুদ- দেয়া হয়েছে। ওই মামলার ২৭তম আসামিকে ১৫ বছরের জেল দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, গত বৃহস্পতিবার আরেক রায়ে গত বছর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের সময় সরকারি ভবনে হামলা ও দখলের দায়ে ১৭ জনকে ১৪ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়।
২০১২ সালে মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে মোহাম্মদ মুরসি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কিন্তু মিসরের সেক্যুলার রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপকভাবে মুরসির বিরোধিতা শুরু করে। গত বছর জুলাইয়ে মুরসির বিরুদ্ধে সেক্যুলারদের গণবিক্ষোভের সুযোগে দেশটির সেনাবাহিনী মুরসিকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে উৎখাত করে মিসরের ক্ষমতা দখল করে।
এরপর মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরও ব্যাপক ক্র্যাকডাউন চালানো হয়। এতে সংগঠনটির সহস্রাধিক সদস্য নিহত হন। সংগঠনটিকে ইতোমধ্যেই ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে এখনও রাজনেতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। মুরসি সমর্থকরাও তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।