আলোচিত হুদা পেলেন ১৮,৫৩৯ ভোট
সিলেট সদর উপজেলায় আলোচিত ১৯ দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ জামাল নূরুল হুদা পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৩৯ ভোট। এ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আশফাক আহমদ। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৪ হাজার ৩৪১ ভোট। ৩০ হাজার ৩৪৮ ভোট পেয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আবুল কাহের শামীম। আর চেয়ারম্যান প্রার্থী মকবুল হোসেন মকু ও জালাল আহমদ যথাক্রমে ৫৭৬ ও ৩৬১ ভোট পেয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলা কন্ট্রোল রুম থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজামাল নূরুল হুদাকে চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্র থেকে ১৯ দলীয় জোটের সমর্থন দেয়া হয়। ফলে নির্বাচনের ৫দিন আগে দলীয় সমর্থন হারান কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবীন চৌধুরীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম।
এর আগে গত ১১ মার্চ বিএনপি’র দফতর সম্পাদক রিজভী আহমদ সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শাহ জামাল নূরুল হুদা’র কাছে লেখা এক পত্রে জানান, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কারণে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এর ৭ দিন পর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
এদিকে প্রার্থী সিলেকশনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ‘ভুল’ সিদ্ধান্তের কারণে সিলেট বিভাগের অনেক উপজেলায় বিএনপি প্রার্থীদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। কেন্দ্র থেকে ইচ্ছামতো প্রার্থী সিলেকশন করা হচ্ছে। আবার ইচ্ছামতো বহিষ্কারও করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে নির্বাচনে।
আবুল কাহের শামীমকে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এমনকি এ ব্যাপারে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দলের সিলেট অঞ্চলের নেতাদের ঢাকায় ডেকে পাঠান এবং তাদেরকে আবুল কাহের শামীমের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে দলের নেতারা আবুল কাহের শামীমের প্রচারাভিযানে নামেন। যদিও দলের কয়েকজন নেতা শামীমকে প্রার্থী করার বিরোধীতা করেন। কিন্তু বিএনপি’র লন্ডন অফিস এ সিলেকশনের বিরোধী ছিলেন। ‘লন্ডন অফিসে’র ফোনেই প্রার্থীতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন।
বিএনপি’র কয়েকজন তৃণমূল নেতা জানান, কেন্দ্রের দ্বৈত সিদ্ধান্তের কারণে গেল সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি যেমন সফলতা পায়নি, তেমনি উপজেলা নির্বাচনেও আশানুরুপ সফলতা পাচ্ছে না। এমনকি বিষয়টি বিএনপি নেতাদের উপলব্ধিতে আসছে না। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে দলের কর্মীরাও দলের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে বলে মন্তব্য তাদের।