শফি’র বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুমকি মাওলানা লোকমানের
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা লোকমান আহমদ। তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য তিনি ভোট ডাকাতির পাশাপাশি বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরীর ভূমিকাকে দায়ী করেন।
সোমবার এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ।
লোকমান আহমদ বিএনপি নেতা শফি চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের এজেন্ট উল্লেখ করে বলেন- নির্বাচনের পর পরই আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু জাহিদকে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। ‘দক্ষিণ সুরমাবাসীকে আল্লাহতায়ালা রক্ষা করেছেন’ শিরোনামের শফি চৌধুরীর দেয়া বিবৃতিকে পাগলের প্রলাপ বলে আখ্যায়াতি করেন লোকামান।
মাওলানা লোকমান বলেন- আমি গত ৫ বছর নিজের যোগ্যতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সততার সাথে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। দক্ষিণ সুরমাবাসীকে নিয়ে শফির বক্তব্য পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাহার না করা হলে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান লোকমান।
শফি চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে লোকমান বলেন, পুকুর থেকে ত্রাণের ঢেউটিন উদ্ধার কিংবা ঘোড়াকে খাওয়ানোর জন্য গরীবের রিলিফের বিস্কুট আত্মসাতের যোগ্যতা আমার নেই। এখন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। শফি চৌধুরী তাই হয়তো আমাকে অযোগ্য প্রার্থী মনে করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লোকমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ মার্চের নির্বাচনের আগেই আমার কর্মী-সমর্থককে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনের দিন সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন আমার পক্ষের এজেন্টদেরকে মারধর করে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট কাস্টও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারী দলের কর্মীদের নির্লজ্জ টেবিল কাস্টের ছবি সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক জালালাবাদের আলোকচিত্রী জয়নাল আবেদীনের একটি স্টিল ক্যামেরা ও একটি মুভি ক্যামেরা কেড়ে নেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু জাহিদ। ক্যামেরা ফেরত চেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর হাতে নাজেহাল হন সিলেট প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক প্রভাতবেলার সম্পাদক কবির আহমদ সোহেলসহ বেশ কয়েক জন সিনিয়র সাংবাদিক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনি সিলেট-৩ আসন থেকে ১৯ দলীয় জোটের মনোনয়ন চাইবেন।