লেখালেখি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কবি আল মাহমুদ
দেশের প্রধান কবি আল মাহমুদকে সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেছে লেখালেখি প্রকাশনা সংস্থা। শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মাহমুদ শাহ কোরেশী, কবি কেজি মোস্তফা, কবি আসাদ চৌধুরী।
কবি জাকির আবু জাফর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ‘লেখালেখি’র প্রকাশক আবুল কাসেম হায়দার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আকবর আলি খান বলেন, কবি আল মাহমুদকে বর্তমান সময়ের মহান কবি। তার লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের সাহিত্য।
জ্ঞানীদের মৃত্যুর পর সর্বত্র তার মূল্যায়ন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জীবিত থাকাকালে কবি-লেখকসহ জ্ঞানীদের অবদানের বিনিময়ে পুরস্কৃত করা হলে তারা যেমন খুশি হতেন তেমনি তাদের অনেক অনুরাগীও তৈরি হতো। দেশের গুনীদের কদর করতে হবে।
কবি আল মাহমুদ বলেন, ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক আমাকে বিজয়ী হতেই হবে। এখন আমি চোখে দেখি না, কানে শুনি না। নাতিরা এ নিয়ে ঠাট্টা করে। তবুও আমি একজন সুখী মানুষ। তিনি বলেন, সাহিত্য মানুষকে চিন্তাশীল ও বিবেকবান করে তোলে। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে সুষ্ঠু ধারার সাহিত্য চর্চা করতে হবে।
এ সময় বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী তবু আপনারা দেশকে স্বপ্ন দেখাতে পারবেন না। কিন্তু আমি যেহেতু কবি সেই অহঙ্কারে জাতিকে স্বপ্ন দেখাই।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা পরনির্ভরশীল না হয়ে জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। আপনি নতুন প্রজন্মসহ আমাদের সে স্বপ্ন দেখান। তিনি বলেন, সম্মানিত ব্যক্তিদের আমরা মর্যাদা দানের বদলে হেয় করে থাকি। জাতীয়ভাবে গুণী ব্যক্তিদের সম্মান না দেখানোর প্রবণতায় চার দিকে আজ অরাজকতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।
অনুষ্ঠানে কবি আল মাহমুদের পোড়ামাটির জোড়া হাঁস উপন্যাস ও তার সাহিত্যকর্মের সার্বিক অবদানের জন্য তাকে ‘লেখালেখি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৪’ সম্মাননা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।