গোপন তথ্য ফাঁসের কারণে চাকরি গেল ব্রিটিশ পুলিশের
ধর্ষণ ও যৌন অপরাধসহ ব্রিটিশ পুলিশের অপরাধ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য নয় এমন চাঞ্চল্যকর গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়ার সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তাকে শেষ পর্যন্ত দেশটির পুলিশ বিভাগের চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
ব্রিটিশ পুলিশের সাবেক কনস্টেবল জেমস প্যাট্রিক নামের এ কর্মকর্তা নিজ ব্লগে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আচরণের কারণে পুলিশের চাকরি থেকে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এভাবে পুলিশের চাকরি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়া সহজসাধ্য হয়নি বলে জেমস প্যাট্রিক তার ব্লগে উল্লেখ করেছেন।
অসদাচরণের বিরুদ্ধে তদন্ত চলার সময়ে সাধারণত ব্রিটিশ পুলিশের কেউ স্বাভাবিকভাবে পদত্যাগ করেন না বা অবসর নেন না। পুলিশ বিভাগে এরকম একটি ধারা প্রচলিত থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন জেমস প্যাট্রিক।
২০১৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটেনের কমন্স পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিলেক্ট কমিটিকে (পিএএসসি) প্যাট্রিক বলেছিলেন, ধর্ষণ ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের যে পরিমান ঘটনা ঘটে তার এক-চতুর্থাংশ প্রকাশ করা হয়। এ জাতীয় অপরাধসহ মারাত্মক অপরাধকে ‘অপরাধ সংক্রান্ত ঘটনা’ বা ‘অপরাধ নয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়া, চুরিসহ অন্যান্য অপরাধের যেসব ঘটনা ঘটেছে এবং এ সম্পর্কে পুলিশের পক্ষ থেকে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে তার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে দেখতে পেয়েছেন প্যাট্রিক।
তার এই বক্তব্যের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয় এবং ব্রিটিশ পুলিশের অপরাধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন ব্রিটিশ পুলিশের ইন্সপেক্টর টম উইন্সর এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যার বার্নাড হোগান- হাউ। ঊর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও প্যাট্রিককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।