স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
বুধবার সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্মরণ করল জানা-অজানা সেই শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা।
লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবারের স্বাধীনতা দিবসে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশ্ব রেকর্ড গড়া এ আয়োজনে দেশের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। প্যারেড গ্রাউন্ডে সমবেত লাখো কণ্ঠে যখন জাতীয় সঙ্গীতের সুর বেজে ওঠে, তখন সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ মানুষ একই সময়ে দাঁড়িয়ে তাদের সাথে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধে বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছরের মতো গতকালও জনতার ঢল নামে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সারা দেশে বর্ণাঢ্য র্যালি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় নানা ধরনের অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয় স্বাধীনতার ৪৩তম বার্ষিকী। রাজনৈতিক হানাহানি, অনিশ্চয়তা দূর হয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশÑ এ-ই ছিল এবারের স্বাধীনতা দিবসের মূল চাওয়া। শান্তির আকাক্সাই ছিল মানুষের প্রধান আকুতি। একই সাথে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের মধ্যে দিয়েই দিবসটি পালিত হয়।
স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ বাড়াতে সন্ধ্যার পরপর শহরে-গ্রামে খোলা মাঠে, রাস্তার মোড়ে, বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় তরুণেরা মঞ্চ বানিয়ে বসায় সঙ্গীতের আসর। দিনব্যাপী সারা দেশে চলে দেশাত্মবোধক গান। বিভিন্ন সংগঠন অসহায় বঞ্চিতদের মধ্যে খাবার বিতরণ করে শহীদদের স্মরণে। তবে দেশে চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের উত্তাপ প্রভাব ফেলেছে এবারের স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যে ক্রিকেট খেলার আয়োজনের প্রাধান্য ছিল এবার।
এ ছাড়া প্রতিবারের মতো সারা দেশের সব জেলখানা ও সরকারি হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয় রোগী এবং বন্দীদের। দিবসটি উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বেতার ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচার করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।