সিরিয়ায় গণহত্যার নিন্দা আরব লিগের
আরব রাষ্ট্রগুলোর নেতারা সিরীয় জনগণের ওপর দেশটির সরকারের গণহত্যার নিন্দা এবং সঙ্ঘাত নিরসনে রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তা ছাড়া তারা ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া ফিলিস্তিনি অবস্থানের প্রতি পূর্ণসমর্থন ব্যক্ত করেছেন। কুয়েতে আরব লিগ শীর্ষ সম্মেলনের শেষে প্রকাশিত ইশতেহারে এ সব কথা বলা হয়। এ দিকে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় একটি শহর দখল করে নিয়েছে।
আঞ্চলিক সংস্থাটির দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন গতকাল বুধবার শেষ হয়। ইশতেহারে বলা হয়, আমরা নিরস্ত্র জনগণের ওপর সিরিয়া সরকারের চালানো গণহত্যার কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ জারুল্লাহ ইশতেহার পাঠ করেন। এতে আরো বলা হয়, আমরা জেনেভা ১ ঘোষণা অনুযায়ী সিরিয়া সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানাই। উদ্বোধনী অধিবেশনে সিরিয়ার সরকারবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন বা এসএনসির প্রধান আহমদ জারবা বিপ্লবীদেরকে উন্নত অস্ত্র সরবরাহে ও মানবিক সহায়তা বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আরব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এসএনসিকে সিরিয়ার জনগণের বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এই ইশতেহারে। কিন্তু শীর্ষ সম্মেলনে সিরিয়ার আসনে বিরোধীদের বসতে বাধা দেয়া হয়। জারবা বলেন, সিরিয়ার আসন খালি রাখা বাশারকে উৎসাহিত করবে এবং তাকে এ মর্মে বার্তা পাঠাবে যে, তিনি হত্যাকাণ্ড চালাতে পারবেন এবং আসনটি যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত তার অপেক্ষায় থাকবে।
ইশতেহারে ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইল সরকারের চালানো গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশকে শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর সময়ে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটিকে এখন ইহুদিদের জাতীয় স্বদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করছেন। তার এই নতুন দাবি মেনে নেয়ার অর্থ হবে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিজেদের বাসভূমিতে ফিরে আসার অধিকার অস্বীকার করা। এ জন্য এ মাসের প্রথম দিকে কায়রো থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরাইলের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব নেতারা।
এ দিকে সিরিয়ার সরকারবিরোধী যোদ্ধারা লাতাকিয়া প্রদেশের আরেকটি উপকূলীয় কাস্তাল মাফ শহরের দখল নিয়ে সরকারি বাহিনীর সাথে লড়াই করছে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের আলাবি সম্প্রদায়ের শক্ত ঘাঁটির দিকে আস্তে আস্তে অগ্রসর হচ্ছে। একদিন আগে তারা সরকারি বাহিনী থেকে আরেকটি উপকূলীয় শহর দখল করে।