২০ অনাবাসী বাংলাদেশি পেলেন সিআইপি কার্ড
দেশের অর্থনীতিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ অবদানের জন্য ২০ জন অনাবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি (কমার্শিয়াল ইমপরটেন্ট পারসন বা বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) কার্ড দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী হিসেবে ২০১১ সালে নয়জন এবং ২০১২ সালে ১০ জন সিআইপি কার্ড পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রবাসীদের মধ্যে কার্ডগুলো তুলে দেন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের অভিনন্দন। আপনারা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। প্রবাসীরা বছরে ১৪ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাচ্ছেন। তবে এটি ২০ বিলিয়ন করা সম্ভব।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বলেছি, যাঁরা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, তাদের প্রণোদনা দেন। প্রবাসীদের কাছে অনুরোধ, আপনারা বৈধ পথে টাকা পাঠান। আমরা প্রবাসীদের বলতে চাই, যাঁরা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, তারা দেশে ফিরে ব্যাংক থেকে ঋণ চাইলে বিশেষ সুবিধা পাবেন।’ বক্তব্য শেষে মন্ত্রী প্রত্যেকের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন।
২০১১ সালে নয়জন সিআইপি হয়েছিলেন। তাঁরা হলেন ওমানপ্রবাসী হাবিবুর রহমান, জসীম উদ্দিন ও ইয়াছিন চৌধুরী, সুইজারল্যান্ডপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম, রাশিয়াপ্রবাসী ফিরোজ উল আলম খান, সৌদিপ্রবাসী ওসমান আলী খান ও মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, কাতারপ্রবাসী মকবুল হোসেন ও জাপানপ্রবাসী তাতেইমা কবির।
২০১২ সালে ১০ জন সিআইপি হয়েছেন। তাঁরা হলেন দুবাইপ্রবাসী মাহতাবুর রহমান, রাশিয়াপ্রবাসী এস এম পারভেজ তমাল ও মাহবুবুল আলম, অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী শহীদ হোসেইন জাহাঙ্গীর হোসেন, জাপানপ্রবাসী সাকুরা সাবের, সৌদিপ্রবাসী ওসমান আলী খান ও আক্কাছ মিয়, আরব আমিরাতপ্রবাসী আকতার হোসেইন, কুয়েতপ্রবাসী আবুল কাশেম ও কাতারপ্রবাসী দেলোয়ার হোসেন। এ ছাড়া ২০১২ সালে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক হিসেবে শারজার জাগরী হোসেন চৌধুরী সিআইপি হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সিআইপি সম্মান পাওয়া প্রবাসীরা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আচরণ ভালো করা, প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে কর্মী পাঠানো, বিমানবন্দরে ভোগান্তি কমানোসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেন। মন্ত্রী তাঁদের এই দাবিগুলো মানার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শামছুন্নাহার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হযরত আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। -দৈনিক প্রথম আলো