নবরুপে সজ্জিত বিসিএ ভবন সংস্কার কাজ শেষে বর্নাঢ্য উদ্বোধন
সংস্কার কাজ শেষে নবরুপে সজ্জিত করা হয়েছে বৃটেনে বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) ভবন। প্রাচীণ এই ভবনটির সংস্কার কাজে সহযোগিতা করেছে বিয়ার কোম্পানী কিংফিশার। গত ২৭ মার্চ বৃহষ্পতিবার এক বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় নতুনরুপে সজ্জিত বিসিএ ভবন। সেন্ট্রাল লন্ডনের হ্যারো রোডস্থ বিসিএ ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন বৃটেনের শীর্ষ ব্যবসায়ী, ক্যাটারার্স, রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও কমিউনিটির সর্বস্তরের বিশিস্টজনেরা।
অর্ধশতাব্দিরও বেশী পুরনো প্রাচীণ এই সংগঠনের কার্যক্রমের স্মৃতিচারন করে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা। তারা বলেন, বৃটেনের কারী শিলেপর প্রতিনিধিত্ব করছে বিসিএ। সীমাহীন সংকটে থাকা এই ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা সমাধানে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে বিসিএর বর্তমান নেতৃত্ব। বক্তারা বলেন, কারী ইন্ডাস্ট্রির উপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাচেছ বাঙালী কমিউনিটি। কমিউনিটির সকল সফলতার নেপত্তে কারী শিলেপর অবদান অনস্বিকার্য।
বিসিএর প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকারের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিশেবে উপস্থিত ছিলেন কিংফিশার ও ইউবি গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. বিজয় মালী। এছাড়াও সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাউজ অব লর্ডস সদস্য ব্যারোনেস পলা উদ্দিন, হাউজ অব পার্লামেন্ট সদস্য কারেন বাক এমপি, রোশনারা আলী এমপি, রিচার্ড কারিংটন এমপি, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েছ, শিক্ষাবিদ আনিছুর রহমান ওবিই,বিসিএর সেক্রেটারী জেনারেল এম এ মুনিম ও সাংগঠনিক স¤পাদক ফজল উদ্দিন প্রমুখ।
বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্কের প্রেজেন্টার নাদিয়া আলীর প্রানবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমানের লন্ডনস্থ কান্ট্রি ম্যানেজার আতিক রহমান চিশতি, স্কয়ার মাইল ইন্সুরেন্স এর ডেভিড, ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের কমিউনিটি এ্যাফায়ার্স জাকির খান, ববি লস্কর প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বিজয় মালী বলেন, বিসিএর মতো একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের জন্য কিছু করতে পারা কিংফিশারের জন্য একটি আনন্দের ব্যাপার। এই সংগঠনের বৃটেনের অর্থণীতিতে যে অবদান রাখছে তা সত্যিই গর্ব করার মতো। বিসিএর সকল অগ্রযাত্রায় কিংফিশার কাজ করবে এমন প্রতিশ্রুতিও তিনি ব্যক্ত করেন।
স্বাগত বক্তব্যে বিসিএ প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার বলেন, একটি ভিশনারী চিন্তা ও চেতনা নিয়ে আজ থেকে ৫৪ বছর আগে বিসিএ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের পূর্ব পুরুষেরা। এই ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত উজ্জল দেখেই তারা তা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই বিসিএ অফিস প্রতিষ্ঠা করার মতো একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তারা। বর্তমানে এই অফিস পুরো বৃটেনের বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টকে রিপ্রেজেন্ট করছে। তিনি এ সময় অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন বিসিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সোলায়মান জেপি। অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচছা জানান বিসিএর প্রেস এন্ড পাবলিকেশনস সেক্রেটারী আনিছ চৌধুরী ও মেম্বারশীপ সেক্রেটারী সাইফুল আলম। অনুষ্ঠানে ফিতা ও কেক কেটে নতুন অফিসের উদ্বোধন ঘোষনা করেন অতিথিরা।