‘এরশাদ যুদ্ধাপরাধী’

জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একজন যুদ্ধাপরাধী এবং তার সাজা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনএফ’র সভাপতি এসএম আবুল কালাম আজাদ। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াউর রহমান দু’জনকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) আয়োজিত ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এরশাদকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সাজা দেয়ার জন্য পাকিস্তান ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল। সেই ট্রাইব্যুনালের একজন চেয়ারম্যান ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সে হিসেবে এরশাদও একজন যুদ্ধাপরাধী। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তারও সাজা হওয়া উচিত। স্বাধীনতার ঘোষক সম্পর্কে তিনি বলেন, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তার আগে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘোষণা আনুষ্ঠানিক ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের ঘোষণাকে অস্বীকার করে। আর বিএনপি করে বিকৃতি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুকে বড় স্থান দিয়ে জিয়াকে অস্বীকার করা যাবে না। আবার বঙ্গবন্ধুকে ছোট করে জিয়াকে বড় করলে ইতিহাস বিকৃতি হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু এবং জিয়া দু’জনই বড় অবদান রেখেছেন। আমি বঙ্গবন্ধুকে যেমন স্বাধীনতার ঘোষক বলতে চাই, তেমনি জিয়াউর রহমানকেও স্বাধীনতার ঘোষক বলতে চাই। এ দু’জনকে বাদ দিয়ে ইতিহাস হতে পারে না। বিএনএফ এর ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাহজেবিন ওয়াহেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী আঞ্জুমান সালাউদ্দিন, ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব এডভোকেট এমএম ইসলাম, বিএনএফ নেতা মিজানুর রহমান মিজু, প্রশান্ত বিশ্বাস প্রমুখ।