হযরত নূহকে নিয়ে নির্মিত ছবি নিষিদ্ধ
এবার ইন্দোনেশিয়ায় নিষিদ্ধ হলো হলিউডের চলচ্চিত্র ‘নোয়া’। মহান আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ বা নবীর চরিত্রে অভিনয়কারীর চেহারা প্রদর্শনের কারণে কাতার, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর ইন্দোনেশিয়াতে নিষিদ্ধ হলো এর প্রদর্শন। নিউজিল্যান্ডের অভিনেতা রাসেল ক্রো-কে এ মুভিতে নোয়া বা হযরত নূহ (আঃ)-র চরিত্রে দেখানো হয়েছে। এতে আরও অভিনয় করেছেন জেনিফার কনোলি এবং এমা ওয়াটসন। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার সেন্সরবোর্ড জানিয়েছে, ইসলামিক মূল্যবোধে আঘাত করায় তারা ছবিটি প্রদর্শন করবেন না। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীর বাস ইন্দোনেশিয়ায়। মুভিটি শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ায় মুক্তি দেয়ার কথা ছিল। ইসলামে নবীর চেহারা প্রদর্শন নিষিদ্ধ থাকায় ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
ইন্দোনেশিয়ার সেন্সর বোর্ডের সদস্য জয়নুত তৌহিদ সাদী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ইসলামে কোনো নবী চরিত্রের প্রকাশ নিষিদ্ধ, অর্থাত্ তার চেহারা প্রকাশ বা প্রচারের কোনো বিধান নেই। ছবিটি যে কেবল ইসলাম সমপ্রদায়কে আঘাত করেছে তা নয়, এর মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদেরও আঘাত করা হয়েছে।হযরত নূহ (আ.) চলচ্চিত্রে ইসলামী শিক্ষার পরিপন্থী বিষয় বিদ্যমান থাকায় এর প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান করেছে মিসরের আল-আযহার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে আল্লাহর নবীগণ এবং মহানবী (সা.)-র সাহাবীদের ছবি প্রদর্শন করা হয় এমন শিল্পকর্ম নবী (আ.)গণের মর্যাদা ও সম্মানের পরিপন্থী। রাসেল ক্রো-র চরিত্রায়ন সঠিক হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠানও। চলচ্চিত্রটির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল রিলিজিয়াস ব্রডকাস্টার্স বডি যৌথভাবে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ছবির কাহিনী দর্শকদের বোঝাতে হলে বলতে হবে বাইবেল থেকে কাহিনী নিয়ে সেটাকে সিনেমায় রূপান্তর করা হয়েছে, বাইবেলের প্রতিটি লাইন মেনে কাহিনী লেখা হয়নি। বিভিন্ন ইসলামী দেশে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্যারামাউন্ট পিকচার নিবেদিত নোয়া মুভিটির পরিচালক ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি। ‘নোয়া’ নবীর সময়কার ভয়াবহ বন্যাকে কেন্দ্র করে নির্মিত চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে।