ঢাকা থেকে হাইকমিশন গুটিয়ে নিচ্ছে মালদ্বীপ
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ঢাকায় নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশন বন্ধ করে দিচ্ছে দেশটি। সোমবার (৩১ মার্চ) থেকে ঢাকাস্থ সার্কভুক্ত দেশের এই হাইকমিশনটির সকল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় একটি হোটেলে তাকে দেয়া বিদায় অনুষ্ঠানে আহমেদ আদিল এ তথ্য জানান। তবে এরপর থেকে হাইকমিশনটির কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হবে সে সম্পর্কে তিনি কিছুই বলেননি।
তিনি জানান, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তাদের এ দূতাবাস বন্ধ করতে হচ্ছে। ৬ বছর আগে মালদ্বীপ ঢাকায় দূতাবাস চালু করেছিল।
তিনি বলেন, মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৪০ শতাংশ ব্যয় কমিয়ে আনছে। তার অংশ হিসেবে বিদেশে প্রথম দূতাবাস বন্ধ হলো ঢাকায়। আরও কয়েকটি দূতাবাস বন্ধ করা হবে।
আহমেদ আদিল বলেন, মালদ্বীপে ৮০ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত। ভবিষ্যতে কর্মী নিয়োগে ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করবে মালদ্বীপে অভিবাসন দফতর। এতে কোনো অসুবিধা হবে না।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আর্থিক সংকট কেটে গেলে খুব শিগগিরই ঢাকায় মালদ্বীপের হাইকমিশন পুনরায় চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৭০ হাজারের মতো বাংলাদেশি মালদ্বীপে কর্মরত আছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য পেশাজীবী রয়েছেন। অন্যদিকে মালদ্বীপে এখন মোট যতসংখ্যক বিদেশি কর্মরত আছেন, এর ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি।
উল্লেখ্য, গত ৩৫ বছর যাবত বাংলাদেশ-মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিরাজমান। ১৯৭৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। প্রথমে দুই দেশের মধ্যে কলম্বোভিত্তিক অনাবাসিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। পরে মালদ্বীপে বাংলাদেশের মিশন চালু হয় ১৯৮৮ এবং ঢাকায় ২০০৮ সালে।