৬৪ জেলায় গ্রামীণফোনের থ্রিজি
সাতটি বিভাগীয় শহরসহ ৬৪টি জেলা শহরে বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্র্রামীণফোনের থ্রিজি সেবা। রবিবার ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ।
বিবেক সুদ বলেন, “টেলিনর গ্রুপের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুতগতির থ্রিজি রোলআউট এবং এটা আমাদের “সবার জন্য ইন্টারনেট” লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এখন পর্যন্ত অর্জিত অগ্রগতিতে গর্বিত, কিন্তু আরো বেশি মানুষকে থ্রিজি ব্যবহারের সুযোগ দিতে নেটওয়ার্কের আওতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।”
গ্রামীণফোন সেপ্টেম্বর ২০১৩তে এক প্রতিযোগিতামূলক নিলামের মাধ্যমে ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ১০ মেগাহার্জ তরঙ্গসহ ৩জি লাইসেন্স পায়। ৮ অক্টোবর ২০১৩ তে প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিকভাবে থ্রিজি চালু করে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ নাগাদ সাতটি বিভাগীয় শহরসহ বেশকিছু জনবহুল শহর থ্রিজির আওতায় নিয়ে আসে গ্রামীণফোন। যদিও লাইসেন্সের শর্তে বলা হয়েছিল নয় মাসের মধ্যে বিভাগীয় শহরগুলোতে থ্রিজি চালু করতে হবে, কিন্তু তা মাত্র তিন মাসেই করা হয়। আর ছয় মাসের মধ্যেই সব জেলা শহরে থ্রিজি চালু হয়েছে।
চিফ টেকনোলজি অফিসার তানভীর মোহাম্মদ বলেন, গ্রামীণফোন এখন দেশের বৃহত্তম ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানকারী। আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ এখন থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আছেন এবং বিদ্যমান থ্রিজি সক্ষম ডিভাইসের শতকরা ৮৫ ভাগ থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে।