‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না মিয়ানমার
মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে তারা আদমশুমারিতে দেশটির মুসলিমদের ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে না। দেশটিতে ১৯৮৩ সালের পর এই প্রথমবারের মতো আদমশুমারি হতে যাচ্ছে। খবর এপি ও এএফপি’র।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির সেনাশাসিত সরকারের ওপর জাতিসংঘের চাপ থাকা সত্ত্বেও বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি এ সিদ্ধান্ত নিল। দেশটির সরকারের মুখপাত্র ইয়ো টাট ইয়াংগুনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায় যদি তাদের ‘রোহিঙ্গা’ নামে পরিচয় দিতে চায়, তাহলে আমরা তাদের ওই নামে অন্তর্ভুক্ত করব না।’
জনগণ তাদের ‘বাঙালি’ নামে অভিহিত করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দেশটির এক সংসদ সদস্য অং মৈ কৈ বলেন, ‘তাদের অবশ্যই ‘বাঙালি’ নামে লিখতে হবে। কারণ ‘রোহিঙ্গা’র কোনো অস্তিত্ব নেই।’ প্রসঙ্গত, দেশটির সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ ও বাংলাদেশের নাগরিক বলে মনে করে।
এমনকি তাদের ভ্রমণ, কর্ম ও বিয়ের ক্ষেত্রেও সরকারি বাধানিষেধ আছে। এদিকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাস।
তারা জানিয়েছে, দেশটির সরকারের উচিত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজস্ব পরিচয়ে জীবন-যাপনের অনুমতি দেওয়া। দেশটির রাখাইন রাজ্যে উগ্রপন্থি বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যকার সংঘর্ষে ২০১২ সালে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত ও প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়। এ ঘটনায় সরকারি বাহিনীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।