তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগানের বিপুল বিজয়
তুরস্কের বহুল আলেচিত পৌরসভা ও মেয়র নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়েছেন মুসলিম বিশ্বের জনপ্রিয় নেতা রিসেপ তাইয়েব এরদোগান। কয়েক মাস ধরে চলা দেশটিতে বিরোধীদের বিক্ষোভ, দুর্নীতির কথিত স্ক্যান্ডালসহ পশ্চিমা গণমাধ্যমের নেতিবাচক প্রচারণার মধ্যেই এরদোগান এই বিজয় পেলেন।
রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, এরদোগানের ইসলামপন্থি জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) পেয়েছে ৪৬ শতাংশ ভোট। এর আগে ২০০৯ সালে একেপি পেয়েছিল ৩৮.৮ শতাংশ ভোট।
অন্যদিকে সেক্যুলার রিপাবলিকান পিপল’স পার্টি (সিএইচপি) পেয়েছে ২৭ শতাংশ ভোট।
দেশের অন্তত ৪৯টি শহরে মেয়র পদে জয় পেয়েছে একেপি।
নির্বাচনের এই ফলাফলে এরদোগানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল হলো। স্থানীয় নির্বাচন হলেও এই নির্বাচনকে এরদোগানের ১১ বছরের শাসনের প্রতি ম্যান্ডেট হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
আগামী নির্বাচনে চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করতে পারেন এরদোগান, অথবা তিনি প্রেসিডেন্ট পদেও প্রার্থী হতে পারেন।
গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই তুরস্কে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইস্তাম্বুল শহরসহ অনেক শহরেই একেপি বিপুল ব্যবধানে জয়ী হলেও রাজধানী আঙ্কারায় বিরোধী দলের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। সেখানে এখন পর্যন্ত একেপি ২ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে।
আঙ্কারার গাজী ইউনিভার্সিটির মেহমেত আকিফ অকুর বলেন, ‘ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এসব স্ক্যান্ডালে এরদোগান তেমন কোনো ক্ষতি ছাড়াই টিকে গেছেন।’
মেহমেত বলেন, ‘ভোটারদের বিশ্বাস, এরদোগানের পতন হলে তাদেরও পতন ঘটবে। দুর্নীতির অভিযোগ যত গুরুতরই হোক না কেনো, এরদোগানের শাসনে ভোটারদের যে অবস্থা ছিল তারা তা ধরে রাখতে চায়।’
আঙ্কারায় একেপির সদর দপ্তরের সামনে জড়ো হওয়া সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এরদোগান বলেন, ‘এরকম একটি বিজয়, এরকম অর্থপূর্ণ একটি ফলাফলে প্রদানের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ।’
এ সময় তার সমর্থকরা ‘তোমার জন্য তুরস্ক গর্বিত’ বলে শ্লোগান দেন। নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তত ৮জন নিহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।