মিশরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২৬ ও ২৭ মে

Egyptমুরসি সকরারের পতনের পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে মিশরের নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৬ ও ২৭ মে এ ভোটগ্রহণ করা হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের নায়ক জেনারেল সিসি সেনাপ্রধানের পদ থেকে সরে গিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ার মাত্র কয়েকদিনের মাথায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলো।
মিশরের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন জানিয়েছে, আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হবে।
গত বছরের ৩ জুলাই এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দেশটির ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন জেনারেল সিসি। সে ঘটনার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পাশ্চাত্যের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে তিনি নিজেই মুরসির স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ‘পাতানো খেলা’ বলেও অভিহিত করছেন অনেক বিশ্লেষক।
আসন্ন নির্বাচনের জন্য এখন পর্যন্ত আর মাত্র এক ব্যক্তি প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জামাল আব্দুন নাসেরপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হামদিন সাবাহি ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় হয়েছিলেন। মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত অবাধ ওই নির্বাচনে ইসলামপন্থী প্রার্থী মুহাম্মদ মুরসি বিজয়ী হয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মে মাসের নির্বাচনে যদি জেনারেল সিসি শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পান তাহলে ১৬ ও ১৭ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জেনারেল সিসি এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকবেন। প্রবাসি মিশরীয় নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন ১৫ ও ১৯ মে।
সূত্র জানায়, সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের মাধ্যমে মিশর শাসনের ধারাবাহিকতায় যে ছেদ পড়েছিল আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে তার অবসান হতে যাচ্ছে। ২০‌১‌১ সালে ইসলামি জাগরণের ফলে স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতন এবং ২০১২ সালের নির্বাচনে মুরসির ক্ষমতা গ্রহণের ফলে ওই ছেদ পড়ে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, সেনা-সমর্থিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এরইমধ্যে বিরোধীদল ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে ব্যাপক কঠোরতা ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে। এরপর সরাসরি জেনারেল সিসি ক্ষমতা গ্রহণ করলে পরিস্থিতি যে আরো খারাপ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button