ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে ইসরায়েল
শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে নতুন দফায় ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে ইসরায়েল। স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেশনে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েল এমন সিদ্ধান্ত নিলো।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন দফায় এই ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিষয়টির পেছনে শর্ত ছিল, ফিলিস্তিন যেন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য জাতিসংঘে আবেদন না করে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘের ১৫টি কনভেশনে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তিনি অভিযোগ করেছেন শান্তি আলোচনায় ইসরায়েল তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের আইন মন্ত্রী সিপি লিভনি বলেছেন, বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে যে শর্ত ছিল তা রক্ষা করতে পারেনি ফিলিস্তিন, যে কারণে বন্দীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
বন্দীদের মুক্তির বিষয়টির পেছনে শর্ত ছিল, ফিলিস্তিন যেন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য জাতিসংঘে আবেদন না করে। তবে ওয়াশিংটন বলছে, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
কিন্তু হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র জে কার্নি বলেছেন, এই শান্তি আলোচনায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুপক্ষই একে অপরকে প্রতিশ্রুতি ভাঙ্গার জন্য দায়ী করলেও কেউ বলেনি যে তারা আলোচনা থেকে সরে আসতে চায়।
এদিকে ইসরায়েলি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শর্তাবলী অনুযায়ী ইসরায়েল এই বন্দী মুক্তি দিতে পারে না। ফিলিস্তিনকে একতরফা আচরণ বাদ দিয়ে আলোচনার টেবিলে এসে বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া হিসেবে চতুর্থ দফায় বন্দী মুক্তি দিতে যাচ্ছিল ইসরাইল।
এর আগে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যদি ইসরায়েল তাদের বন্দীদের মুক্তি না দেয় তাহলে তারা শান্তি আলোচনা থেকে সরে আসবে।
ইসরায়েল যেন ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয় এবং যেন তারা শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখে সে বিষয়ে মধ্যস্ততার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।