ঢাবিতে ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন
গণজাগরণ মঞ্চ এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ বর্তমানে দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী আকন্দের খুনিদের গ্রেফতার ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের মিথ্যা, বিভ্রান্তিক্রর বক্তব্যের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল। এরপর শাহবাগে ছাত্রলীগ একই দাবিতে আন্দোলন করে। ছাত্রলীগ দেশের সব আন্দোলনেই ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের আর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগ একটি প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। গণজাগরণ মঞ্চ পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন থেকে টাকা নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই কারণেই জনগণ মঞ্চ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগ।
নাজমুল বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ বর্তমানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। মঞ্চের মুখপাত্র বর্তমানে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলতে মিশনে নেমেছেন বলে মনে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। কারণ মিডিয়া কাভারেজ পাওয়া যায়। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে মঞ্চের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের সঙ্গে বিরোধ থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে মঞ্চের মধ্যে অস্থিরতা চলছে। মঞ্চর নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ আসমান ও সাবেক দফতর সম্পাদক নাসিম আল মোমিন রুপনকে ঘিরে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার মিথ্যা ও সম্পূর্ণ অসত্য বক্তব্যে দিচ্ছেন। চারুকলার সামনে গণজাগরণ মঞ্চ নববর্ষ উপলক্ষে মঞ্চ স্থাপন করতে চাইলে শেখ আসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছেন কি না তা জানতে চেয়েছিলেন। এই জন্যই মঞ্চের মুখপাত্র ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ মঞ্চের নেতার্মীদের ওপর হামলা করেছে এই ধরনের বক্তব্যে প্রত্যাহার
করতে হবে। জাতির কাছে এই মিথ্যা তথ্য প্রচার করার জন্য মঞ্চের ক্ষমা চাইতে হবে। যদি মঞ্চ প্রমাণ করতে পারে ছাত্রলীগ হামলার করেছে তাহলে ছাত্রলীগ জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।