লন্ডনের এশিয়ান অ্যাওয়ার্ড লিমিটেড
১০০ ব্যক্তির তালিকায় শেখ হাসিনা ও ড. ইউনূস
এশিয়ার শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম। ওই তালিকায় ২১ নম্বরে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৫৪ নম্বরে। তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনফিং। দুই নম্বরে আছেন ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এছাড়া তালিকায় আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী নরেন্দ্র মোদিসহ এশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তির নাম।
লন্ডনের এশিয়ান অ্যাওয়ার্ড লিমিটেড ২০১৪ এই তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন এশিয়ান ব্যবসায়ী পল সাগু।
এ তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বলা হয়, শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তিনি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীও ছিলেন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সারা জীবন তিনি মানুষের সেবা করে চলেছেন। ২০০৯ সালে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। অনেকবার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নির্দেশে তাকে জেল খাটতে হয়েছে। বিশ্বব্যাপী নারীদের উন্নয়নে বর্তমান ও সাবেক নারী নেত্রীরা একটি কাউন্সিল গঠন করেছেন। এর নাম কাউন্সিল ফর উইমেন ওয়ার্ল্ড লিডারস। এর সদস্য শেখ হাসিনা।
এ তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বলা হয়েছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্ম বাংলাদেশে। তিনি ভারতে পড়াশোনা করেছেন। সরকারি বিভিন্ন কাজ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার আগে তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লেকচারার। ক্ষুদ্র ঋণ প্রবর্তনের জন্য তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। যেসব মানুষের কোন সম্পদই নেই অথবা যাদের সামান্য সম্পদ আছে এই ঋণ নিয়ে তারা আত্মনির্ভরশীল ব্যবসা করতে পারছেন।
এ তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছেন মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি, হংকংভিত্তিক ব্যবসায়ী স্যার লি খা শিং, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক কুয়েন হাই, ভারতের অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি, পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান আশফাক কায়ানি।
রয়েছেন ভারতের ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সামাজিক আন্দোলনের নেতা আন্না হাজারে, অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই, অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান। এতে রয়েছে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নাম। আরও আছেন ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম ও সাবেক ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকার।