বিমান নিখোঁজ হওয়ার ১ মাস পূর্ণ
অনুসন্ধানের সাফল্য হুমকির মুখে
মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে নিয়োজিত দলটি নতুন কোনো সিগন্যাল পাচ্ছে না। ইতোপূর্বে প্রাপ্ত তিনটি সিগন্যালের সঠিক উৎপত্তিস্থল খুঁজে বের করতে না পারার কারণে, অনুসন্ধানের সাফল্য হুমকির মুখে পড়েছে। অনুসন্ধানে নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় দলটি এ তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রেলীয় অনুসন্ধানী দলটি জানিয়েছে, তারা ভারত সহাসাগরের তলদেশে যথাসম্ভব সুচারুভাবে অভিযান চালানোর স্বার্থে সাবমেরিন নিয়োজিত করতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিমানের ব্ল্যাকবক্স ব্যাটারিচালিত বিধায়, এক মাসের অধিক সময় সেটি সিগন্যাল পাঠাতে সমর্থ হয় না। এদিকে ভুল দিকে অনুসন্ধানে অধিক সময় ব্যয় হয়ে যাওয়ার কারণে, আজ ৮ এপ্রিল বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার এক মাস পূর্ণ হলো। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই ব্ল্যাকবক্স তার কার্যক্ষমতা হারাতে যাচ্ছে।
এ পরিস্থিতির সত্যতা নির্দেশ করছে, শনিবার ও রোববারের পর নতুন কোনো সিগন্যাল আর না পাওয়ার ব্যাপারটি। অবশ্য অস্ট্রেলীয় মিশনের অধিনায়ক অঙ্গাস হিউস্টন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেভিড জনস্টন এখনও আশাবাদী।
তাদের বিশ্বাস, ব্ল্যাকবক্সটি আগামী আরও দিনকয়েকের জন্যে সিগন্যাল পাঠাতে সক্ষম হতে পারে। যে কারণে অভিযান চালিয়ে যেতে তারা বদ্ধপরিকর। তারা অন্তত আর একটি সিগন্যালের জন্যে উৎকর্ণ হয়ে আছেন।
অনুসন্ধানে পরবর্তী ধাপে ব্লুফিন ২১ নামে একটি সাবমেরিন মহাসাগরের তলদেশে নামতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে অধিনায়কের ব্যক্তিগত অভিমত, গভীর সমুদ্রের তলদেশের বিস্তৃত এলাকার তুলনায় ছোট সাবমেরিনটির জন্যে অনুসন্ধান কাজটি খুব সহজ হবে না।
উল্লেখ্য অস্ট্রেলীয় দলটি সর্বশেষ যে সিগন্যালটি পেয়েছিল সেটির মান ৩৩.২ কিলোহার্জ। স্বাভাবিক অবস্থায় একটি ব্ল্যাকবক্স যে সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকে তার মান ৩৭.৫ কিলোহার্জ।