বিআরটিসির বাসে ওয়াই-ফাই !

BTRCডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পে মানুষের জীবন আরও সহজ হয়ে উঠছে। দেশে নানান ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির ২০টি বাসে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সুবিধা চালু হচ্ছে। বাসগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল বাস। আজ ফার্মগেটে বাসগুলোতে ওয়াই-ফাই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। টেক শহর সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
শুধু ওয়াই-ফাই সুবিধাই নয়, সঙ্গে এ বাসগুলো একই সঙ্গে ভেহিক্যাল ট্রাকিং প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ফলে বাসটি কোথায় কত দূরে আছে। তাও যাত্রীরা যানতে পারবেন বাড়িতে বসেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। জানা গেছে, প্রতিটি বাসে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের চারটি থ্রিজি ওয়াই-ফাই রাউটার থাকবে। ফলে একটি বাসে অন্তত ৪০ যাত্রী যে কোনো স্মার্ট ডিভাইস দিয়ে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ঢুঁ মারতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি বাসে ১০টি বারকোড যুক্ত স্টিকার থাকবে। গ্রাহককে তার ডিভাইসটি দিয়ে একটি ছবি তুলে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ঢুকতে হবে। এটুআই-এর দাবি, রাজধানীর বাসযাত্রীদের অন্তত ১০ শতাংশ স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করেন। তাই এসব ব্যক্তিদের জন্য এটি খুবই উপকারী হবে। ভবিষ্যতে অন্যান্য রুটের বাসগুলোতেও একই সেবা চালু করা সম্ভব হবে বলেও মনে করছেন তারা। এটুআই কর্মকর্তারা আরও বলেন, বাসগুলোতে ভেহিক্যাল ট্রাকিং প্রযুক্তি থাকবে। তাই একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহক ঘরে বসেই দেখতে পাবেন তার স্টপেজের পরবর্তী বাসটি কত দূরে আছে। তবে অ্যাপটি এখনও তৈরির প্রক্রিয়ায় রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এটি উন্মুক্ত করার কাজ চলছে। তবে এর আগে ওয়েবসাইট থেকে চাইলে যাত্রীরা বাসের অবস্থান জানতে পারবেন। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে বিআরসিটি কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসে স্থাপিত ড্যাসবোর্ডের মাধ্যমে জানতে পারবে বাসটি কোথায় কি অবস্থা আছে। তা ছাড়া একটি বাস কয়টি ট্রিপ দিল বা নির্দিষ্ট গন্তব্যে সেটি যাতায়াত করছে কিনা তাও পরীক্ষা করা যাবে। এটুআই প্রকল্পের পিপল পারসপেটিভ বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা এ বিষয়ে বলেন, জনগণকে আরও বেশি তথ্য প্রযুক্তিবান্ধব করতে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। এতে চলতি পথের সময়টিও তারা কাজে লাগাতে পারবেন, যা দেশকে ডিজিটাল কার্যক্রমের পথে আরও এগিয়ে নেবে। মুক্তা জানান, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কয়েকটি পকেটে টেলিটকের নেটওয়ার্কে সমস্যা আছে। এগুলো ঠিক করতে বলা হয়েছে। তার দাবি বাসটি ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে চললেও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হবে না। এর আগে বিআরটিসি বাসে পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। জাপানি ঋণদানকারী সংস্থা জাইকার আর্থিক ও বিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সনির কারিগরি সহায়তায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল এ সিস্টেমটি চালু করা হয়। এর ফলে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহের পরিবর্তে এসপাস কার্ডের মাধ্যমে বিআরটিসি বাসের ভাড়া পরিশোধ করতে সুযোগ পায় যাত্রীরা। তখন পরীক্ষামূলকভাবে সর্বপ্রথম রাজধানীর আবদুল্লাহপুর-মতিঝিল রুটে এই ব্যবস্থাটি চালু করা হয়। এ লক্ষ্যে এই রুটে ৩ হাজার ১৫০টি এসপাস কার্ড ইস্যু করা হয়। এরপর গত বছরও এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। এম. মিজানুর রহমান সোহেল। যুগান্তর

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button