ইরানের নতুন রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
ইরান মনোনীত জাতিসঙ্ঘের নতুন রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রদূত হামিদ আবুতালেবি ১৯৭৯ সালে তেহরানে মার্কিন দূতাবাসে হামলার সাথে জড়িত বলে তার নিয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর আপত্তি জানিয়েছে। তবে দেশটির এমন সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী বলে উল্লেখ করেছে ইরান। বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
হামিদ আবু তালেবি জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মনোনীত হওয়ার পর তাকে যেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া হয়- কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসা এমন প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ওবামা অনেকটা চাপের মুখে পড়েন।
এ সপ্তাহের শুরুতে ইরান সরকারকে হোয়াউট হাউজ জানিয়েছিল, হামিদ আবুতালেবিকে জাতিসঙ্ঘের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নির্বাচিত করে তারা ঠিক কাজ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তকে দু:খজনক ও আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের ইরানের মুখপাত্র, হামিদ বাবেই।
আবুতালেবিকে ভিসা না দেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সিনেট উভয় কক্ষেই বিল পাস হয়েছে। এখন বিলটি চূড়ান্তভাবে আইনে পরিণত হতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সই প্রয়োজন।
ইরান বলছে, সবচেয়ে অভিজ্ঞ কূটনীতিকদের মধ্যে একজন হামিদ আবুতালেবি, যোগ্যতার ভিত্তিতেই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র জে কার্নি শুক্রবার বলেন, আমরা জাতিসঙ্ঘ এবং ইরানকে জানিয়ে দিয়েছি যে, আমরা আবুতালেবির ভিসা ইস্যু করব না। এ লক্ষ্যে কংগ্রেসে ইতিমধ্যেই একটি বিল পাস করা হয়েছে। আমরা আইনটি পর্যালোচনা করব।
যদিও ভিসা না দেয়া সংক্রান্ত বিলটিতে প্রেসিডেন্ট ওবামা সই করবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাননি কার্নি।
১৯৭৯ সালে তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয় একদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই সঙ্কটে ৫২ জন অ্যামেরিকান ৪৪৪ দিন আটকে ছিলেন।
গত মাসে ইরানিয়ান এক নিউজ সাইটে দেয়া সাক্ষাৎকারে আবুতালেবি জানান, মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয়া গ্রুপটির সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন না।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে কখনো জাতিসঙ্ঘের কোনো রাষ্ট্রদূতের ভিসা প্রত্যাখ্যান করেনি এবং আবুতালেবির ভিসা ইস্যু না করে নতুন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে কিনা এ নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সংবাদদাতারা।