গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই নারীসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো নয়জন। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ফরেস্ট অফিসের সামনে লেগুনা ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন আরো চারজন। নিহতরা হলেন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মেঘাইর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো: জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), নাটোরের সিংড়া উপজেলার খান পুকুরিয়া গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে আব্দুল খালেক (৩৫), টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার জাওয়াইর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুল হাকিম (৪০), বগুড়ার নন্দীগ্রামের শাহীন আলমের স্ত্রী খাদিজা বেগম (২০) এবং অজ্ঞাত পুরুষ (৩৫)। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে দু’জন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে খাদিজা ও আব্দুল হাকিম বাবা-মেয়ের সম্পর্ক বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। হতাহতরা সবাই লেগুনারা যাত্রী।
কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের ওই স্থানে গাজীপুরগামী একটি লেগুনার সাথে কালিয়াকৈরগামী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে এক নারীসহ দু’জন ও হাসপাতাল নেয়ার পথে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাকবলিত লেগুনা ও ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সী ডা: সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাঁচজনের লাশ হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগে রয়েছে। গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এদিকে একই দিন সকালে টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের টঙ্গী শিলমুন এলাকায় একটি লেগুনার সাথে একটি ট্রাকের সংঘর্ষে এক নারী নিহত এবং কমপক্ষে তিনজন আহত হন।
টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন জানান, সকাল ৭টার দিকে শিলমুন ক্যাথারসিস হাসপাতালের সামনে কালীগঞ্জগামী একটি লেগুনা যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় সিলেট থেকে আসা বিপরীতগামী একটি ট্রাক চাকা ব্লাষ্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেগুনার সাথে সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলে বেদানা আক্তার (৪৮) মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় চালক মামুনকে (৩০) প্রথমে টঙ্গী হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অপর দু’জনকে ক্যাথারসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে সকাল ৮টার দিকে টঙ্গীর আশরাফ সেতুর সামনে ট্রাকচাপায় দুই পথচারী আহত হন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।